শিশু সুরক্ষা বিষয়ে রাজশাহীতে এসিডি’র জিসিসি প্রকল্পের অগ্রগতি সভা অনুষ্ঠিত


  ‘আমি খেলি, আমি পড়ি এবং আমি নিরাপদ’

এসিডি প্রতিবেদক: অদ্য ১৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)-রাজশাহী এর আয়োজনে ও সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর সম্মেলন কক্ষে শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও খেলাধুলার মাধ্যমে অনিরাপদ স্থানান্তর প্রতিরোধ এবং তাদের অধিকার সমুন্নত রাখার প্রত্যয় নিয়ে ‘আমি খেলি, আমি পড়ি এবং আমি নিরাপদ’ এই ম্লোগানকে সামনে রেখে ‘গুড কজ ক্যাম্পেইন (জিসিসি)’ প্রকল্পের অগ্রগতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ হামিদুল হক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল ও সহকারি কমিশনার কৌশিক আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন এসিডি’র নির্বাহী পরিচালক, জেলা ক্রীড়া অফিসার, শিশু একাডেমির পরিচালক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সমাজসেবা কর্মকর্তা, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সহকারি পরিচালক, উপ-মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী ও রাজশাহী সিটিকর্পোরেশন এর কাউন্সিলর, ইউপি সদস্য, শিশু প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও এসিডি’র কর্মীবৃন্দ।

সভায় এসিডি’র প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর সঞ্চালনায় স্বাগত ও শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন করেন এসিডি’র নির্বাহী পরিচালক জনাব সালীমা সারোয়ার। এরপর মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জিসিসি প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপনের পর অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে মুক্ত আলোচনা করা হয়।

মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, রাজশাহী নগরীতে শিশু বান্ধব ট্রাফিকের ব্যবস্থা করতে হবে ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিশু সুরক্ষার বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করতে হবে। শিশুদের জন্য সিটি কর্পোরেশন ১৯, ২০, ২১ ও ২৮ নং ওয়ার্ডে যে খেলার মাঠ আছে তা খেলার উপযোগী না।

বিকাল হলে বখাটে ছেলেদের আড্ডার কারণে শিশুরা খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং তাদের নিরাপত্তাও বিঘিœত হয়। তাই খেলার মাঠগুলোতে বাউন্ডারি ও প্রহরীর ব্যবস্থা করতে হবে।

আলোচনায় শিশুপ্রতিনিধিরা বলেন অনিরাপদ স্থানান্তর প্রতিরোধ ও শিশু সুরক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং যদি কেউ কাজের প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে চায় তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে যেতে হবে।

এছাড়া শিশুদের জন্য আলাদা খেলার মাঠ প্রয়োজন ও শিশুদের খেলাধুলায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বিশেষ করে সিটিকর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন মাঠগুলোতে দেখা যায় বিকাল হলেই মাদকাসক্ত ছেলেদের আনাগোনা ফলে শিশুদের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় এজন্য খেলার মাঠগ্রলোতে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে শিশুদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে ও বরাদ্দকৃত বাজেট যেন শিশুদের সুরক্ষায় ব্যবহার করা হয়।

জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রাইমারী ও হাইস্কুলের যেসব মাঠ আছে তা শিশুদের খেলার জন্য উন্মূক্ত রাখতে হবে। পদ্মার ধারে বাধেঁর উপরে যে পতিত জায়গা আছে সেখানে খেলার মাঠ করা হবে।

তিনি উপস্থিত কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে আপনারা যেখানে খোলা জায়গা পাবেন সেখানে শিশুদের খেলার উপযোগী পরিবেশ তৈরী করবেন।

আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করবো আপনারাও আপনাদের জায়গা থেকে শিশুদের সুরক্ষা তথা খেলার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

আমাদের চারপাশে যে সীমিত সম্পদ আছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। উন্মুক্ত খেলার মাঠগুলোতে সময় ব্যবস্থাপনা করে বড়দের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় এবং শিশুদের নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করতে হবে।

যেসব মাঠে মাদকের প্রবণতা রয়েছে সেখানে পুলিশি অভিযান চালানো হবে। তিনি বলেন আমাদের টার্গেট ওরিয়েন্টেড কাজ করতে হবে। শুধু আলোচনার মধ্যে না থেকে কাজ করে যেতে হবে।

শিশু সুরক্ষার বিষয়ে কাউকে আয়োজক হতে হবে কিছু ইনপুট দিতে হবে। তিনি আরও বলেন রাজশাহীতে শিশুদের খেলার জন্য যে মাঠ আছে সেগুলোকে নিরাপদ করা হবে।

ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে রিকুয়েষ্ট লেটার পাঠানো হবে যাতে ইউপি তাদের বাজেটে শিশুর খেলাধুলা ও শিশু সুরক্ষার জন্য বরাদ্দ বাড়ায় এবং বরাদ্দকৃত টাকা শিশু সুরক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ব্যয় করে।

বার্তা প্রেরক সরোজ কুমার বিশ্বাস, এমডিও, এসিডি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.