মাগুরা প্রতিনিধি:প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আমাদের শিশুদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের মূল উদ্দেশ্য। শিশুকে যদি ভাষায় ও গণিতে সক্ষম করে তুলতে পারি, সাক্ষর করে তুলতে পারি, তাহলে সে মানবিক জ্ঞানভান্ডারে ঢুকতে পারবে। স্বাধীনভাবে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে
শনিবার (১৯ এপ্রিল) মাগুরা জেলা অডিটরিয়ামে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিশুকে সাক্ষর ও সক্ষম করে তুলতে পারলে তার সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের সুযোগ করে দিতে পারবো। শিশুকে সাক্ষর করে তোলা মানে সামাজিক বৈষম্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা হলো। সামাজিক বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে শিশুদের সাক্ষর ও সক্ষম করে তোলা। এর জন্য শিক্ষকদেরও যথাযথ ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন—প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মো. আতিকুর রহমান, মাগুরা সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর অপূর্ব মণ্ডল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, জিল্লুর রহমান, শাহনাজ পারভিন, মো. গাওয়ারিত হোসেন ও ইয়াসমিন আক্তার।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. হামিদুল হক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রাক-প্রাথমিক ও একীভূত শিক্ষা) মো. জয়নাল আবেদীন, মাগুরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পরে মাগুরা পিটিআই অডিটরিয়ামে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের ‘ট্রেনিং অন প্রকিউরমেন্ট ই-জিপি’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.