শিশুদের টিকা করণ জরুরি নয়

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ বিনোদন কুমার পল স্পষ্টতই জানিয়েছেন স্কুলে যাবার জন্য শিশুদের টিকাকরণ জরুরি নয়। শুধুমাত্র শিক্ষকদের এবং শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণ হলেই চলবে সেই সাথে মানতে হবে কঠোর করোনা বিধি।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে দেশ জুড়ে জল্পনা কল্পনার মধ্যেই এই স্বস্তির কথা শোনাল কেন্দ্র। বহু রাজ্য ইতিমধ্যেই ধাপে ধাপে স্কুল খোলার পথে।পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও জানিয়েছে পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর পর এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে। দেশ জুড়ে জোর কদমে চলছে ভ্যাকসিন অভিযান।
আই সি এম আর জানাচ্ছে সংক্রমণ রোখার গ্যারান্টি না থাকলেও সঠিক সময়ে টিকাকরণ হলে মৃত্যু রুখবে এটা নিশ্চিত। কেন্দ্র চাইছে টিকা নিতে যাতে কেউ অনিহা প্রকাশ না করে। বিশেষ করে সামনেই উৎসবের মরসুম। কেন্দ্রের দাবি,টিকার প্রথম ডোজই আটকাতে পারে ৯৬,৬ শতাংশ মৃত্যু। আর দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যাবে ৯৭শতাংশ।
ডাঃ বিনোদ কুমার পল বলেন আগামী বছর ঘটা করে যদি উৎসব উদযাপন করতে হয় তা হলে এই বছর সংযত থাকুন ও কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ ভিড় করবেন) না এবং ভিড়ে যাবেন না। ভিড় দেখলেই সংক্রমণের সুযোগ খোঁজে কোভিড ১৯ এবং ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গির প্রকোপও বাড়ে। সব জ্বরই সিরিয়াসলি নিতে হবে, টেস্ট করাতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। টিকাকরণের পরেও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন যাকে বলে ‘ব্রেক থ্রু’।
তাই কোভিডের দ্বিতীয়বার ঢেউ আসার পর আই সি এম আর সমীক্ষা করে দেখেছে টিকা না নেওয়া প্রতি ১০লক্ষের মধ্যে কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে ষাটোর্ধ ১৩জনের,৪৫ঊর্ধ ৩জনের। অথচ ভ্যাকসিন নিলে তা শূন্য।
তবে ভ্যাকসিন থেকে গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর আসছে,যা কিন উদ্বেগ জনক বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর। কাউকে কাউকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি হতে হচ্ছে। সাথে দেখা যাচ্ছে সাংঘাতিক এলার্জি,গা বমি,ধূম- জ্বর,তল পেটে বেদনা। সমস্ত ব্যাপার টাই বিশদে পর্যালোচনা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে আর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.