রংপুর প্রতিনিধি:দিন- রাত ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রংপুরের শিল্পনগরী হারাগাছ। লোডশেডিংয়ের মাত্রা কয়েকগুন বেড়ে বিঘ্নিত হচ্ছে কারখানার উৎপাদন। সেই সাথে কারখানা গুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় দিনমজুর শ্রমিকরা কাজ করতে না পারায় বাড়তি লোকসান গুনতে হচ্ছে ৩ হাজার ব্যবসায়ীকে।
এছাড়াও উৎপাদিত পণ্য কমে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। শুধু তাই নয় টানা লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ৫০ হাজার গ্রাহক। পণ্য উৎপাদন ব্যাহতের পাশাপাশি ভোগান্তি বেড়েছে লেখাপড়া, ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও বসতবাড়ির কাজসহ বিদ্যুৎ নিরর্ভতায় সাধারণ মানুষ।
৩০মে শুক্রবার হারাগাছ এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বেঙ্গল গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা সেলিম, আনছার বিড়ির পরিচালক বাদশা মিয়া, সুরুজ বিড়ি’র পরিচালক আজাদ মিয়া, সোনার চাঁদ বিড়ি’র পরিচালক টুটুলসহ হারাগাছ এলাকার অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী বিক্ষুব্ধ প্রকাশ করে বিটিসি নিউজকে বলেন, রংপুর অঞ্চলের মধ্যে সরকারকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব দেয় হারাগাছবাসী। তা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ পিডিবির বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিবর্তে নির্ভরশীল পল্লী বিদ্যুতের উপর।
পল্লী বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের একেকজন ব্যবসায়ীর লোকসান গুনতে হয় লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সূত্রে জানা গেছে, এই নগরীতে ৫০ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা ১৫ মেগাওয়াট। এই হারাগাছে আবাসিকের পাশাপাশি শিল্পএলাকা হিসেবে বানিজ্যিক গ্রাহক ২৮৮৮ জন। স্বাভাবিক ১২-১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা। সে তুলনায় গত কিছুদিন যাবত হারাগাছ ইউনিট বিদ্যুৎ পাচ্ছে মাত্র ৬ মেগাওয়াট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বিটিসি নিউজকে বলেন, এখানে বরাদ্দকৃত মেগাওয়াট কম থাকায় ২-৩ ঘন্টা পর পর ফিডার বন্ধ করতে হয়। আর ফিডার চালু করার সাথে সাথে বিদ্যুৎতের চাহিদা দিগুন বেড়ে যায়। তা না হলে ব্লাক আউট করে দেয় হেড অফিস।
তারা আরো বলেন, দৈনিক প্রতিঘন্টার রেকর্ড মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে আশার আলো দেখার সুযোগ নেই গ্রাহকদের।
এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ হারাগাছ জোনাল অফিস এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. এহতেশামুল হক বলেন, উত্তরাঞ্চলের জন্য বরাদ্দ ৯৫০ মেগাওয়াট, যেখানে প্রয়োজন ২ হাজার মেগাওয়াট। বাকিটা এই অঞ্চলে উৎপাদন করে চাহিদার পুরণ করা হয়। আমাদের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হচ্ছে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ। ওই কেন্দ্রে সমস্যা সৃষ্টি হলেই আমাদের চাহিদার ঘাটতি হয়। হারাগাছ শিল্পনগরী হলেও বাড়তিভাবে বিদ্যুৎ সেবাদেয়ার কোন সুযোগ নেই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.