শিল্পকলায় হয়ে গেল শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব

 

বিটিসি বিনোদন ডেস্ক: শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের সংগীতের সমৃদ্ধ এ ধারায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সম্পন্ন হলো ৬ দিনব্যাপী ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।
সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬-৩১ মে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বসে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব।
নৃত্যাঞ্জলি রাগ কল্যাণীতে আদি তালে অর্ধনারীশ্বর- রাগ মালিকার মতো শাস্ত্রীয় নানান ধারা ও ঘরানার সুর ও নৃত্য পরিবেশিত হয়েছে ১৬ তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবের সমাপনী পরিবেশনায়। শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানে সমাপনী দিনের শুরুতেই পরিবেশিত হয় সমবেত শাস্ত্রীয় সংগীত ‘খেয়াল’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শাস্ত্রীয় সংগীত কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের পরিবেশনায় সংগীত পরিচালনা করেন ইমামুর রশিদ। পরিবেশিত হয় রাগ- ভূপালী বা ভোপ, ঠাট – কল্যাণ।
এরপর পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য ‘মনিপুরি লৈমা’। একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার এন্ড আর্টস, সিলেট এর পরিবেশনায় নৃত্য নির্দেশক ছিলেন শান্তনা দেবী। লৈমা জাগোয় বা নৃত্য লাই হারাউবার একটি অংশ বিশেষ। আদিকাল থেকেই মনিপুরীরা সানামাহিজমের দেবদেবীদের সন্তুষ্টি বিধানের উদ্দেশ্যে এই নৃত্য পরিবেশন করে আসছে। এখানে ঢোলের তালে শুদ্ধ মনিপুরী নৃত্যের মূদ্রার ব্যবহার করা হয়েছে।
এরপর একক সংগীত রাগ: মধুবন্তী পরিবেশন করেন অন্তরা মণ্ডল। একক ‘ধ্রুপদ’ পরিবেশন করেন এ.কে. এম কৌশিক আহমেদ এবং পাখোয়াজ সঙ্গতে: ফেরদৌস হাসান।
এরপর পরিবেশিত হয় শাস্ত্রীয় নৃত্য ‘ভরতনাট্যম’। নৃত্য পরিচালনা ও পরিবেশনা করেন জুয়েইরিয়াহ মৌলি। এই নৃ্ত্যে অর্ধনারীশ্বর পৌরুষ এবং নারীত্বের শক্তিকে, ঐশ্বর্যকে উপস্থাপন করে।
এরপর একক শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শেখ আবিদুর রহমান কচি। তিনি পরিবেশন করেন কত্থক, শিব বন্দনার নৃত্যাংশ ও পরিশেষে তারানা। এরপর একটি অপ্রচলিত রাগ পরিবেশন করেন এফ এম রেজোয়ান আলী। এরপর একক শাস্ত্রীয় সংগীত ‘ঠুমরি’, পরিবেশন করেন উর্বী সোম এবং রাগ :মধ্যমজান পিলু(মিশ্র)। এরপর মনিপুরি পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ংপ্রভা। এরপর ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করেন মোহনা মীম।
এরপর হাজার বছরের পুরনো বাংলার ঐতিহ্য বাহী শাস্ত্রীয় নৃত্য গৌড়ীয় নৃত্য। গৌড়ীয় নৃত্য মার্গের দ্বিতীয় পর্যায়ের নৃত্য আলাপচারী।আলাপ অর্থ রাগ, চারী অর্থ চলন। পরিবেশিত হয় দেশ রাগের আলাপচারী। নৃত্য নির্মিতি-ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায়, নৃত্য পরিচালনায় র‍্যাচেল প্যারিস এবং সংগীতে অমিতাভ মুখোপাধ্যায়।
এরপর একক সংগীত ধ্রুপদ – রাগ ভূপালী পরিবেশন করেন ইমামুর রশিদ। পাখোয়াজ – মো. রাশেদুল হাছান জীবন এবং তানপুরা – আবিদা সেতু এবং মোহনা। এরপর পরিবেশিত হয় শাস্ত্রীয় নৃত্য ‘কথক’। শুদ্ধ নৃত্য- ত্রিতাল পরিবেশন করবেন দীপা সরকার। এরপর একক সংগীত রাগ: মারুবিহাগ, ঠাট: কল্যাণ, পরিবেশন করেন আফরোজা আক্তার রুপা।
এরপর সমবেত নৃত্য ‘মনিপুরি’ পরিবেশন করে নৃত্যদল ভাবনা। নৃত্যটি রচনা করেছেন গুরু বিপিন সিংহ ও গুরু শ্রীমতি কলাবতী দেবী এবং সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন গুরু শ্রীমতি কলাবতী দেবী। পরিবেশনায় নৃত্যদল ভাবনা, নৃত্য পরিচালনায় সামিনা হোসেন প্রেমা। একক নৃত্য ওড্যিস্যি নৃত্য ‘মোক্ষ্য’ পরিবেশন করেন ফারজানা ইয়াসমিন। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শ্রীমতি শতাব্দী মল্লিক। সমবেত নৃত্য ভরতনাট্যম পরিবেশনা করে কল্পতরু। কল্পতরু পরিবেশন করে রাগমালিকা এবং তাল মিশ্র চাপু, রাগ মালিকা । বিষয় ভগবান কার্তিকের গুণকীর্তন।
সবশেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশু কিশোর সংগীত দল পরিবেশন করে রাগ-ইমন, সংগীত পরিচালনায় ছিলেন ড.শেখর মণ্ডল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.