শিলংয়ে কারফিউ জারি

(শিলংয়ে কারফিউ জারি–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শিলং শহর জুড়ে এখন গা ছমছমে স্তব্ধতা বিরাজ করছে। ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিনই আগুন জ্বলে উঠল মেঘালয়ে। পুলিশের গাড়ি ছিনতাই করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। জায়গায়-জায়গায় দেখানো হল কালো পতাকা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পড়ল ইট-পাথর। এরপরই শিলং শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) গভীর রাতে। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রাক্তন বিদ্রোহী নেতা চেরিশস্টারফিল্ড থাংখিউ-এর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় তাকে গুলি করে হত্যার করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ওই প্রাক্তন বিদ্রোহী নেতা।
পুলিশ দাবি করেছে তিনি পুলিশের উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। আত্মরক্ষার্থেই থাংখিউকে গুলি করা হয়েছে। যদিও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ তাঁকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। এরপরই শিলংয়ের কিছু অংশে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল।
গত শনিবার (১৪ আগস্ট) পুলিশের টহলদারি দলের একটি গাড়িতে পাথরও ছোড়া হয়।১৭ অগাস্ট পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। সঙ্গে গোটা রাজ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। আর এই হিংসার পরই ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাখমেন রিম্বুই। চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা প্রাক্তন বিদ্রোহী নেতার মৃত্যুর ম্যাজিস্ট্রেটাল তদন্তের আশ্বাস দেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
গতকাল রবিবার (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতা দিবসের দিন পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। এদিন ছিল চেরিশস্টারফিল্ড থাংখিউ-এর শেষকৃত্য। শত শত মানুষ কালো পোষাক পরে এবং কালো পতাকা হাতে তাঁর শেষযাত্রায় অংশ নেন। এরপর ভাঙা হয় মাওকিনরো পুলিশ চৌকির দরজা। বহু গাড়ি ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুয়াহাটি-শিলং রোডে অনেক গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে জানা যায়।
এদিকে পূর্ব ও পশ্চিম খাসি হিল, দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিল ও রি-ভয় জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার জন্যে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.