শিবগঞ্জে পৌর মেয়রের মদদে চলছে অবৈধ চাঁদা আদায় পরিবহন শ্রমিকরা নিরুপায়’ এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ!

বিশেষ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাগঞ্জ এর শিবগঞ্জে পৌর মেয়রের মদদে চলছে অবৈধ চাঁদা আদায় এতে পরিবহন শ্রমিকরা হয়ে পড়েছেন নিরুপায়’ আর এলাকাবাসীরা হয়েছেন ক্ষুব্ধ। এখাণে সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে পন্য বাহি ট্রাক দেশের বিভিন্ন জেলাই যাতায়ত কালে শিবগঞ্জ পৌরসভাধীন মহা সড়কের উপর ট্রাক ও অন্যান্য যানবহনকে জোরপূর্বক থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আর সেখান থেকে শিবগঞ্জ পৌর মেয়রের মদদপুষ্ট কতিপয় মাদকাসক্ত ও লুটেরা পেটুয়া বাহিনী দিয়ে চলছে চাঁদা আদায়ের রমরমা বানিজ্য। দেশের কোন জেলায় বা হায়ওয়ের উপর গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলার নজির না থাকলেও  শিবগঞ্জ পৌর সভার মেয়র কারিবুল হক রাজিন চাঁদা তুলে নজির গড়লেন।

সোনা মসজিদ স্থল বন্দর রোড টু ঢাকা রোড, এর পৌর এসরাইল মোড় সড়কে চলাচলকারী যানবাহন থেকে এ চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা এবং আজ বুধবার (০৩ জুন) দুপুরে স্থানীয় ও ট্রাক শ্রমিক নেতা কর্মিরা এসে চাঁদাবাজদের বিরদ্ধে এবং পৌর মেয়র কারিবুল হক রাজিন এর মাদকাসক্ত ও লুটেরা বাহিনীর সাথে কথা-কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে ট্রাকের ড্রাইভারের উপর নির্যাতন করলে তাদের আত্নচিৎকারে স্থানীয় জনগন এগিয়ে আসে। স্থানীয় জনতার ধাওয়ায় পৌর মেয়রের মাদকাসক্ত ও লুটেরা বাহিনী ততক্ষণাৎ পালিয়ে যায়। সাধারন জনগন কিছুখনের জন্য মহাসড়কটি বন্ধ ও অবরোধ করে দয়ে।

তবে শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কারিবুল হক রাজিন বলেন, যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করা হয় না। পৌরসভার বিধান অনুযায়ী, যানবাহন থেকে পার্কিং ফি আদায় করা হয় মাত্র।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শেখ হাসিনা ব্রিজ থেকে ট্রাক চালক সাইদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সোনা মসজিদ স্থল বন্দর রোড টু ঢাকা রোড চলাচলকারী ছোট-বড় কোনো যানবাহনই ওই পৌর এলাকায় পার্কিং করে না বা যাত্রী ওঠানো-নামানোও করে না। অথচ শিবগঞ্জ পৌর এলাকার এসরাইল মোড় ও শেখ টোলা মোড় এবং পাইলিং মোড় এই সব এলাকার প্রবেশ পথে মহাসড়কে গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা নেওয়া হয়। খড়ি বোঝায় ট্রলি থেকে ২০ টাকা এবং ট্রাক থেকে  ৫০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। এখানে পৌর মেয়রের চাঁদা আদায়ের রশিদে ২০ টাকা থাকলেও ৫০ টাকা আদায় করেছেন তার কয়েকজন পেটুয়া বাহিনী।

ট্রাক চালক সাইদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, জোর করে গাড়ি থামিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস থেকে  ২০ টাকা, মিনিবাস ও ছোট ট্রাক থেকে ৩০ টাকা এবং বড় যানবাহন থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হয়। চাঁদা না দিলে প্রতিনিয়ত চালক ও যাত্রীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়চ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা গেছে, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সড়কগুলোতে টোল আদায় করা যাবে না।

সওজের আওতাধীন সড়কে টোল আদায়ের কথা স্বীকার করে পৌর মেয়র বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, চাঁদাবাজি নয়, নিয়ম মেনেই যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ পৌরসভার সাধারন জনগনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমান মেয়র বিভিন্ন দুরর্নীতি সাথে জরিত এবং বর্তমানে হাট-বাজার ইজারাসহ প্রতি ট্রাকে ৫০টাকা করে চাদা আদায় করছে। এই দুরর্নীতি বাজ মেয়রের হাত থেকে পৌর বাসিরা মুক্তি চাই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.