শিবগঞ্জে ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি: গত ১৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে বগুড়ার শিবগঞ্জে শাহজাহানের ওপর ধর্ষণের অভিযোগে ৯ (১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন প্রতিবেশী গ্রাম দক্ষিণ কৃষ্ণপুর উত্তর পাড়ার আলতাব হোসেনের মেয়ে মঞ্জিলা বেগম।

এদিকে স্বামী পরিত্যাক্তা মঞ্জিলা বেগমকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ১লক্ষ টাকা দিয়ে দুইটি গরু কিনে বর্গা দিয়েছিলেন শাহজাহানের পরিবার। একটি মঞ্জিলা বেগম নিজেই লালন পালন করতেন অপরটি মঞ্জিলা বেগমের চাচাতো ভাই খলিলুর রহমান লালন পালন করতেন, গত ১৪ই জুলাই রাত ৯ টায় মঞ্জিলা বেগম শাহজাহান আলী আকন্দকে গরু অসুস্থতার কথা বলে খবর দেয়। শাহজাহান যাওয়ার আগেই মঞ্জিলা আগে থেকেই তার অনুগত কিছু মানুষকে তৈরি রেখে চক্রান্তের জাল পেতে রাখে। এরপর শাহজাহান আলী যাওয়া মাত্রই চিল্লাচিল্লি শুরু করে দেয়।
এরপর মঞ্জিলার অনুগত লোক গুলো ছুটে আসলে তাদেরকে জানায়, শাহজাহান আলী তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে! মনজিলা বেগম জৈনিক ব্যক্তির মাধ্যমে শাহজাহানের ছোট ভাই ও ছোট বোন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার কে জানায়।
এ সময় ফাহিমা আক্তার তার বক্তব্যে জানায়, আমি আমি সেদিন রাতে শিবগঞ্জ থানায় ফোন দিলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় ট্রিপল নাইন কয়েক বার ফোন করে শিবগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করে পুলিশ পাঠাই।
খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ শাহজাহান ও মঞ্জিলাকে থানায় নিয়ে এসে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এদিকে ঘটনার পরদিন থেকেই এলাকায় সচেতন মানুষের মন্তব্য পাওয়া যায় মঞ্জিলা বেগমের খপ্পরে পড়ে ইতিপূর্বেও অনেক পুরুষকে লক্ষ লক্ষ টাকা ডোনেশন হিসেবে দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কয়েক জায়গায় বিয়েও করেন তিনি যার একাধিক ভিডিও ও অডিও ক্লিপ সাধারণ মানুষের মন্তব্যে পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ বলেন মঞ্জিলার কাছে প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা আছে এই টাকার উৎস কী, এনিয়ে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সে অনেক আগে থেকেই অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থেকে টাকা উপার্জন করে (একাধিক ভিডিও ক্লিপে উঠে এসেছে এই কথাগুলো) বলেও জানা যায়।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ থানা সূত্রে জানাযায়, ভিকটিমের আইননূগ মেডিকেল পরীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা যায় শাহজাহান আলীর জোরপূর্বক ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাইমা জাহান বলছেন,গত ২রা জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় শিবগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন তার ভাড়া বাসায় তিনি না থাকার সুযোগে ঘরে চোর প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র সহ নগদ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা চুরি করিয়া নিয়ে যায়।
৩ রা জুলাই আনুমান সকাল দশটায় ফাহিমা তার ভাড়া বাসায় এসে দেখতে পান তার বাসা চুরি হয়েছে।এরপর ১৮ আগস্ট উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়ি রায়নগর দহপাড়া পৈতৃক সম্পত্তির উপর খরের পালায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে ফাহিমা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই ঘটনাগুলো উপর আজও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এরপর তার বোনের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেখানে ষাট হাজারের বেশি টাকা চুরি হয়েছে বলে জানান, একই পরিবারে মাত্র দেড় মাসের মধ্যে চার চারটি ঘটনা ঘটার কারণে এলাকার সচেতন মানুষরা মনে করেন এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। একটি প্রভাবশালী কুচুক্তি মহল ফাইমার সততা ও দূরদর্শিতা নেতৃত্বের ইশ্বানিত হয়ে, তাদের এজেন্ট দ্বারা একের পর এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অন্যায় অত্যাচার করেছেন বলে ঔ নেত্রী মনে করেন। এতকিছু অন্যায়ের পরেও আইনগত ভাবে কাঙ্খিত সুবিচার পাননি বলে রিপোর্টারকে জানিয়েছেন ফাহিম আক্তার। তিনি বিষয়টি উচ্চতর প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি মো. নাদিম মাহমুদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.