শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ মাস্টার্স পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে ২০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ শনিবার (০৮ অক্টোবর) দলটির আমির, চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এই দাবি ঘোষণা করেন। রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউ অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘কারিকুলাম জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১’ ধর্মীয় শিক্ষার অবস্থান শীর্ষক আলোচনা সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
এই দাবি আদায়ে তিন দফা কর্মসূচিও ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১০ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমূখে গণমিছিল, সচেতনতায় শিক্ষাবিদ ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে মাসব্যাপী মতবিনিময় এবং গণ-সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা।

২০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আগামী প্রজন্মকে সু-নাগরিক হিসেবে গড়তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কুরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক, আলিয়া মাদ্রাসায় ৫০০ নম্বরের আরবি শিক্ষা আগের মতো বহাল রাখা, শিক্ষানীতি ও শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী স্কলারদের অন্তর্ভুক্ত করা, ১০ম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষায় বাধ্যতামুলক রাখা, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ইসলাম শিক্ষায় আগের মতো বাধ্যতামূলক, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, বুয়েটসহ সব ধরনের ভর্তি পরীক্ষায় এবং বিসিএসসহ সবধরণের চাকুরির পরীক্ষায় বিষয় ও পরিস্থিতিভেদে ধর্মশিক্ষা বিষয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ শতাংশ প্রশ্ন বা নম্বর বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হয়েছে। এখন দেওবন্দ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে আমাদের ছেলেরা পড়তে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী বরাবরই বলে আসছেন, ইসলামি শিক্ষা ছিল, আছে এবং থাকবে। কিন্তু সিলেবাসে রেখে পরীক্ষা না হলে সে শিক্ষার কোনো গুরুত্ব থাকে না। এভাবে ইসলামি শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর এসএসসি পাবলিক পরীক্ষায় ইসলামি শিক্ষা পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেই ধারাহিকতায় ১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশ থেকে করে দাবি জানিয়েছি। এরপর  দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে দাবি দাওয়া পেশ করেছি। কিন্তু সরকারের কর্ণকুহরে তা পৌঁছেনি। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কর্ণকুহরে পৌঁছানোর জন্য কঠোর কর্মসূচি পালন করে যাব।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন, সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নূরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.