শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম অশ্লীল নাচ ভালোভাবে নেয়নি অভিভাবক ও সচেতন মহল, সিংড়া সরকারি কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে অশ্লীল নাচের ভিডিও ভাইরাল

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে ভাড়ায় আনা বহিরাগত মেয়েদের গানের তালে তালে অশ্লীলভাবে নাচতে দেখা যায়। অশ্লীল এ নাচের ভিডিও মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এলাকায় চলছে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড়।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে প্রায় দেড় ঘন্টা চলে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৃস্পতিবার (২৭ জুন) ১২জন শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত আয়োজক কমিটিকে কারণ দর্শাতে নোটিশ দিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন।
জানা যায়, সিংড়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ ও কলেজ ছাত্রলীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আর এ অনুষ্ঠানের খরচ যোগাতে বিদায়ী শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়ার নামে জোরপূর্বক ৩০০ টাকা করে চাঁদাও আদায় করা হয়েছে।
কাউসার নামের একজন তার ফেসবুকে লিখেছে, ‘ফেসবুকে এতদিন ছিলো রাসেল’স ভাইপার আর এখন শুধু দেখি গোল-ই আফরোজ কলেজের যাত্রা। আমার অজু নষ্ট হয়ে গেল।’
মেহেদি আল হাদী লিখেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা কি আশা করবো? নবীন বরণ না তো যুব সমাজ নষ্ট করা। সিংড়ার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা সত্যি লজ্জাজনক।
মো. সাব্বির হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়ার গৌরবময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজে আজকে কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্র সংসদের তথাকথিত মেধাশূন্য ছাত্রনেতাদের আয়োজনে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কলংকিত হলো গৌরবময় কলেজ ও কলেজের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস। উল্লেখ্য, যে শিক্ষাঙ্গনে ছিল বহু জ্ঞানী গুণী সফল রাজনৈতিক নেতৃত্বের পদধুলি সেই শিক্ষাঙ্গনে আজ মেধাশূন্য নেতৃত্বে ছাত্র রাজনীতির সোনালী ইতিহাস পদদলিত হলো। এ লজ্জা কার? এর দায় নিবে কে ?
সৈয়দ মমিনুল হাসান রিয়াদ লিখেছেন, তবে মেয়েগুলোর নৃত্য দেখে মনে হয়েছে ক্লাবের কোন নর্তকী ভাড়া করে আনা হয়েছে। সত্যি কর্তৃপক্ষ বেহায়া আর নির্লজ্জের সর্বনিম্ন স্তরে না পৌঁছলে এমন আয়োজন করতে পারত না।
সিংড়া সরকারি কলেজের ভিপি মাসুম আলী ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দীপ্ত ঘোষের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ করেননি।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি চারটার পরে ঘটনাটি শুনেছি। ১২জন শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত আয়োজক কমিটিকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়ার নামে জোরপূর্বক ৩০০ টাকা করে আদায় করার বিষয়টি জানেন না বলে জানান অধ্যক্ষ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.