শাহ্ নেয়ামতুল্লাহ কলেজে বেতন-বোনাসের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচী


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: কলেজ সভাপতি অব. অধ্যক্ষ মো. সাইদুর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতা ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কলেজের বেতন-বোনাসসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধার দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজ’র শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সামনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির দিনেও তাদের বকেয়া বেতন-ভাতাদী না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী পালন করে শিক্ষক-কর্মচারীরা।
কলেজের আর্থিক কোন অনটন না থাকলেও শুধুমাত্র সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণেই দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তি এবং এই রমজান মাসেও শিক্ষক-কর্মচারীদের কলেজের বকেয়া বেতন-ভাতাদী না দেয়ায় চরম ক্ষুদ্ধ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী।
বার বার আবেদন জানালেও কোন কর্ণপাত না করায় এই অবস্থান কর্মসূচী পালন করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজে অবস্থান কর্মসূচী পালনকারীরা। বিষয়টি প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক শিক্ষক অবহিত করলেও কোন সমাধানের কথা না বলে উল্টো যারা এসব করছে, তাদের তালিকা করার নির্দেশ দেন সভাপতি সাইদুর রহমান বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তবে, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. দুররুল হোদা’র আশ^াসে কর্মসূচী পালনকারীরা শান্ত হয়।
শিক্ষক-কর্মচারীরা জানায়, শাহ নেয়ামতুল্লাহ কলেজের অনার্স বিভাগের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন, বোনাসের দাবিতে বুধবার অধ্যক্ষের কক্ষে প্রায় ৫ ঘন্টা ব্যাপি অনসন কর্মসূচী পালন করে শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
অনার্ষ বিভাগের শিক্ষকদের ৬ মাসের বেতন, ১১মাস যাবৎ কলেজের আর্থিক সুবিধা বন্ধ ও অত্র কলেজের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের বোনাসের দাবিতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে শিক্ষক-কর্মচারীরা।
তাঁরা অভিযোগ করেন, অত্র কলেজের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান বিভিন্ন কলা কৌশলের দৌহায় দিয়ে এই বেতন বোনাস বন্ধ রাখে। সভাপতি কে শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন বোনাসের জন্য বললেও কোন সাড়া না দেওয়ায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা বাধ্য হয়েই অধ্যক্ষের কক্ষে অবস্থান নেয়।
সভাপতি সাইদুর রহমান কে কলেজের শিক্ষকরা মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে, সভাপতি উল্টো শিক্ষকদের তালিকা করতে বলে ভয়ভীতি দেখান। শেষ পর্যন্ত সভাপতি কোন সুরাহা করেন নি বিষয়টির।
তাঁরা আরও জানায়, বুধবার বিকেলে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ডা. দুররুল হোদা’র বৃহস্পতিবার বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসে শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়ি যান।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালে ডা. দুররুল হোদা’র কক্ষে বসে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদী দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে সাময়িকভাবে শান্ত হয় শিক্ষক-কর্মচারীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে বসে বেতন-বোনাস দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাঃ হাকিকুল ইসলাম’র কাছে এবিষয়ে জানতে বার বার চেস্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এব্যাপারে কলেজের সভাপতি অব. অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কলেজের বেতন-ভাতাদীর দাবীতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচী পালনের বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না বলে ফোন বন্ধ করে দেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.