শাহবাজকে নেতৃত্বে বসানোর পরিকল্পনা ছিল ৫ বছর আগেই!

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই তিনি। শরিফ পরিবারের নওয়াজ একাই পাকিস্তানে তিন মেয়াদে প্রায় নয় বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
কিন্তু ২০১৭ সালে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোগ্য ঘোষিত হয়ে নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তার ছোট ভাই শাহবাজকে নেতৃত্বে বসানোর প্রবণতা শুরু হয়। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ বছর আগেই শাহবাজকে নেতৃত্বে বসানোর পরিকল্পনা ছিল। এ ছাড়া শাহবাজের পর অপেক্ষায় রয়েছেন নওয়াজকন্যা মরিয়ম নওয়াজ। আলোচনায় আছেন মরিয়মের ছেলে জুনায়েদ সফদার এবং শাহবাজের ছেলে হামজা শাহবাজ শরিফও।
২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে পাকিস্তানের পরিবারতান্ত্রিক শাসনের ইতিহাস বদলে দিয়েছিলেন ইমরান খান। ক্রিকেট থেকে রাজনীতিতে আসা এই নেতার হাত ধরেই দেশটির তথাকথিত এলিট শাসনব্যবস্থার পতন হবে বলে মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আশার গুড়েবালি। কারণ, শাহবাজ শরিফ ক্ষমতায় আসার মধ্যদিয়ে মূলত পরিবারতান্ত্রিক শাসনেই ফিরল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের আধা-সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থা ও রাজনীতির স্তরে স্তরে পিতৃতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও আত্মীয়করণ হয়ে আসছে। বিশেষ করে গত কয়েক দশকে দেশটির রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রই সবচেয়ে বেশি প্রভাব খাটিয়েছে। এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন প্রধান দুই দল পিএমএল-এন ও পিপিপি উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি বাস্তব।
কেবল নওয়াজ পরিবারই নয়, পাকিস্তানে পরিবারতন্ত্রের ধারা বয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভুট্টো পরিবার ও তাদের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপল পার্টিও (পিপিপি)। ২০০৭ সালে দলীয় নেত্রী ও পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পর দলটি দিশা হারিয়ে ফেলে।
পিপিপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেনজির ভুট্টোর বাবা জুলফিকার আলী ভুট্টো। প্রায় চার দশক পাকিস্তানের রাজনীতিতে ছড়ি ঘুরিয়েছে দলটি। কিন্তু বেনজির ভুট্টোর মৃত্যুর পর তার ছেলে বিলাওয়াল দায়িত্ব নিলেও দুর্বল হতে থাকে দলটি। তবে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে পিপিপির। শাহবাজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিলাওয়াল ভুট্টো পাকিস্তানে আবারও ফিরিয়ে আনলেন পরিবারতান্ত্রিক শাসন। (সূত্র: দ্য ডন)। #

 

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.