শাদাব খানের ৯ ছক্কায়ও জিততে পারলো না ইসলামাবাদ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাতে একের পর এক ছক্কা হাঁকালেন, মারলেন বাউন্ডারি। কিন্তু তবুও নিজের দলকে জেতাতে পারলেন না লেগ স্পিনার থেকে ব্যাটারে পরিণত হওয়া ইসলামাবাদ ইউনাইটেড অধিনায়ক। ৪২ বলে ৯১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেও মুলতান সুলতানের কাছে ২০ রানে হেরে গেছেন শাদাব খানরা।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে মুলতান সুলতানকে ব্যাট করতে পাঠায় শাদাব খানের দল ইসলামাবাদ। ব্যাট করতে নেমে রিলে রুশে এবং টিম ডেভিডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান সংগ্রহ করে মুলতান সুলতান।
শুরুতেই শান মাসুদ আর মোহাম্মদ রিজওয়ান মিলে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। যদিও ১১ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ সময় দলীয় স্কোর ছিল ৪.৫ ওভারে ৩০ রান। শান মাসুদ যখন আউট হন তখন দলের রান ৬৫। ৩১ বলে ৪৩ রান করেন শান মাসুদ।
শোয়েব মাকসুদ ১১ বলে করেন ১৩ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার রিলে রুশো ৩৫ বলে ঝড় তুলে করেন ৬৭ রান। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার মারেন তিনি। টিম ডেভিডের ব্যাট তো ছিল যেন খোলা তরবারি। ২৯ বলে তিনি করেন ৭১ রান। ৬টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।
জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। পল স্টার্লিং করেন ১৯ রান। অ্যালেক্স হেলস ১৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন। রহমানুল্লাহ গুরবাজ করেন ১৫ রান।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪২ বলে ৯১ রান করে আউট হন শাদাব খান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শাদাব খানের সঙ্গে আরও কেউ তেমন দাঁড়াতে পারেননি। ফাহিম আশরাফ আউট হয়ে যান শূন্য রানে। আজম খান আউট হন ১২ রান করে এবং আসিফ আলি করেন মাত্র ১৫ রান।
শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ১৯৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। মুলতান সুলতানের হয়ে খুশদিল শাহ ৩৫ রানে নেন ৪ উইকেট। ডেভিড উইলি নেন ৩৮ রানে ৩ উইকেট। রুম্মান রইস এবং আনোয়ার আলি নেন ১টি করে উইকেট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.