শাদাব-ইফতেখার ঝড়ে পাকিস্তানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে মরণ-বাঁচন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি পাকিস্তান। জিতলেও সেমিফাইনালের টিকিট পাকা নয় কোনওভাবেই। তবে হারলে বিদায় নিশ্চিত বাবর আজমদের।
এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার সিডনিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে পাকিস্তান।
প্রোটিয়া বোলারদের সামনে এদিন বাবর-রিজওয়ান রান না পেলেও ইফতেখার-শাদাব খানদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ওই স্কোর গড়তে সক্ষম হয় দলটি। ৩৩ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন পাঁচে নামা ইফতেখার। তার ৪০ বলের এই ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৩টি চারের সঙ্গে ২টি ছয়ের মার।
তবে ইফতেখারের চেয়েও এদিন অনেক বেশি মারকুটে ছিলেন শাদাব খান। চারটি ছক্কা আর তিনটি চারের মারে মাত্র ২০ বলে ফিফটি হাঁকান তিনি। যদিও এর পরেই সাজঘরে ফেরেন এই অলরাউন্ডার, ২২ বলে ৫২ রান করে।
আর শাদাব খান আউট হতেই পরপর তিন বলে ৩টি উইকেট হারিয়ে ফিনিশিংটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। তা না হলে হয়তো আরও কিছু রান যোগ হতে পারত দলের স্কোরে। তাদের শুরুটাও ভালো হয়নি এদিন। প্রোটিয়া বোলারদের তোপের মুখে শুরুতেই উইকেট হারানো দলটি মাত্র ৪৩ রানেই হারিয়ে বসে ৪টি উইকেট।
প্রথম ওভারেই দলের সেরা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪) একটি বাউন্ডারি মেরে আউট হওয়ার পর একে একে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম (৬), শান মাসুদ (২)। এর মাঝে মোহাম্মদ হারিস ৩টি ছয় ও ২টি চারে ঝড় তুললেও তা থেমে যায় ১১ বলে ২৮ রানেই।
এরপর মোহাম্মদ নওয়াজকে (২৮) নিয়ে ৩৯ বলে ৫২ এবং শাদাব খানকে নিয়ে ৩৬ বলে ৮২ রানের দুটি দুর্দান্ত জুটি গড়ে বিপর্জয় সামলে দলকে চ্যালেঞ্জিং ওই স্কোরে পৌঁছে দেন ইফতেখার আহমেদ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে অ্যানরিখ নরকিয়া একাই ৪টি উইকেট দখল করেন ৪১ রানের বিনিময়ে। এছাড়া পারনেল, রাবাদা, এনগিদি ও শামছি নেন একটি করে উইকেট। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.