শহীদ মিনার ভাংচুর নিয়ে ধাওয়া-ধাওয়ি , পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন মিঠাপুকুরে

রংপুর ব্যুরো:  রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দের ভাজের মোড়ে আজ শনিবার বিকেলে শহীদ মিনার ভাংচুরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বকুল ও সাইফুল গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-ধাওয়ি ,হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সেখানে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের তকেয়া কেশবপুর ভাঁজের মোড়ে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের এমপি আশিকুর রহমান গ্রুপের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম মওলা বকুল বাদী হয়ে একই এলাকার আওয়ামীলীগের উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন গ্রুপের নেতা সাইফুল ইসলামের নামে গত ৪ এপ্রিল থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগটি জিডি হিসেবে (নং ২০৫/তাং-৪-০৪-১৯) গ্রহন করে এসআই মিজানুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। এসআই মিজানুর রহমান বিষয়টি অধরতব্য অপরাধ হিসেবে তদন্তের অনুমতি চেয়ে রংপুর সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে আবেদন করেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি সমঝোতার জন্য আজ শনিবার দুপুরে স্থাণীয় চেয়ারম্যানের অফিসে বৈঠকের জন্য নির্ধারিত ছিল। সাইফুল গ্রুপ সেখানে উপস্থিত না হওয়ায়  গোলাম মওলা বকুল তার লোকজন নিয়ে ভাজের মোড়ে অবস্থান নেয়। এসময় সাইফুল গ্রুপের সাথে বকুল গ্রুপের ধাওয়া-ধাওয়ি, কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার পর সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে এ নিয়ে সেখানে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করেছেন এলাকাবাসি।

ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম রব্বানীর অভিযোগ, ভাজের মোড়ে এলাকাবাসি একটি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা করেছি। স্থানীয় লোকজন আমাকে শহীদ মিনার কমিটির সভাপতি বানিয়েছেন। সেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ সকল স্তরের মানুষ বিভিন্ন দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কিন্তু স্থানীয় সাইফুল ইসলামমঞ্জু জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত।

তিনি শহীদ মিনারটি স্থায়ীভাবে নির্মানের পর থেকেই ওখানে হতে দিচ্ছে না। গত ৩ এপ্রিল তিনি শহীদ মিনারটি ভাংচুর করেন। বিষয়টি জানিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করি। শনিবার বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার বৈঠক থাকলেও সাইফুল আসে নি।

আমরা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে শহীদ মিনার এলাকায় গেলে সাইফুল ইসলাম, ফারুকসহ তাদের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে শফিকুল, মানিক ও শাহিনুর নামের তিনজন আহত হন। বিষয়টি আমরা থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, আমিই ইউপি চেয়ারম্যানের কে প্রস্তাব দিয়ে ওই জায়গায় শহীদ মিনারটি স্থাপন করেছি। আমার পরিবার দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামীলীগ করে আসছে। আমি গত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেনের পক্ষে নৌকা মার্কার ভোট কওে তাকে জিতিয়েছি।

আর গোলাম রব্বানী বকুল আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঞ্জুর মার্কা আনারসের পক্ষে কাজ করেছে। তারা এমপির লোক। সেকারনে তারা আমার বিরোধিতা করছে। এবং বিষয়টি নিয়ে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে।

মিঠাপুকুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি অভিযোগটি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত যেভাবে তদন্তের আদেশ দিবে। আমি সেভাবে তদন্ত করবো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.