প্রেস বিজ্ঞপ্তি:শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোকে রাজশাহী জেলা পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ শহীদ বুদ্ধিজীবী ও শহীদ বীর মুুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ পরিষদে উপস্থিত সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় ডিসেম্বর বিজয়ের মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ শহীদ
বুদ্ধিজীবী ও লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘৃণ্য হত্যাকান্ডে শিকার বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী জাতিকে মেধাশুন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে তারা তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল সামশদের নিয়ে শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক,ক্রীড়াবিদ, সরকরী কর্মকতাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, সেই দিন আমরা যদি এই মেধাবী মানুষগুলিকে না হারাতাম, তাহলে আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন আরো অনেক বেশী হতো। আপনারা জানেন, আমি মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্বে অংশ নিয়েছি। স্বাধীনতার যুদ্ধে আমি আমার বাবা সহ পরিবারের ১৩ জন সদস্যকে হারিয়েছি। তাই আমি জানি, এই স্বাধীনতা আমাদের কত ত্যাগ ও কষ্টের অর্জণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি এদেশের হাল না ধরতেন, তাহলে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দলগুলো বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তান বানিয়ে ছাড়তো।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য-৩ ( পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা) মোসা: সাজেদা বেগম, আব্দুর রশিদ, সদস্য-১( গোদাগাড়ী) মো: মাইনুল ইসলাম, সদস্য-২ (তানোর) ( পবা ও সিটি কর্পোরেশন) মো: তফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত সদস্য-১ (গোদাগাড়ী, তানোর ও পবা) শিউলী রানী সাহা, সংরক্ষিত সদস্য-২ ( মোহনপুর, দূর্গাপুর ও বাগমারা) , সুলতানা পারভীন রিনা । রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসান, এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী এজাজুল আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.