নিজস্ব প্রতিবেদক: শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যুদ্ধ বিধস্ত দেশকে এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে সে সময়ে কৃষির উপরে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি কৃষি জমিতে চাষাবাদের জন্য সেচের ব্যবস্থা করতে চীন এবং জাপান থেকে প্রথম সেচ মেশিন (শ্যালো মেশিন) আমদানী করেন। সেইসাথে খাল খনন করেন। মাছে ভাতে বাঙালী। এটাকে বাস্তবে রুপ দিতে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি এবং বেশী করে মাছ চাষ করতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
তিনি পুকুর ও জলাশয় সংস্কার করে সেখানে মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা এবং উন্মুক্ত জলাশয়ে ব্যাপকভাবে মাছ অবমুক্ত করার জন্য সচেতনতামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বলে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওহাটা পৌর যুবদল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনেরর আয়োজনে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মৎস্য অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই পথে এগুচ্ছেন। তিনি দেশের কৃষির উন্নয়নে ৩১দফায় উল্লেখ করেছেন। শুধু তাইনয় বিএনপি নির্বাচিত হলে কৃষকদের উন্নয়নে কৃষি কার্ড প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন। এছাড়াও নারীরা যাতে পরিবারের সম্মানের সাথে থাকতে পারেন সেজন্য প্রতিটি পরিবারের গৃহীনিদের টিসিবি কার্ড প্রদান করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিলন আরো বলেন, বেগম জিয়া একজন মমতাময়ী মা। তিনি নিজ সন্তানদের যেমন ভালবাসেন, তেমনি দেশবাসীকেও ভাল বাসেন। এর উজ্জল দৃষ্টান্ত হলো তিনি কখনো দেশ থেকে পালাননি। শত কষ্টেও এবং নানামুখি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তিনি দেশেই আছেন। বেগম জিয়া বলেন, আমার একটা সন্তান নয়, পুরো দেশবাসী আমার সন্তান। এই সন্তানদের ছেড়ে তিনি মৃত্যু ছাড়া কোথাও যাবেন না বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়া। এটাই হলো দেশের প্রতি ভালকাসা ও কমিটমেন্ট। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনা বার বার দেশ ছেড়ে পালিছিলো। শেষবারতো সবাই জানে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে বাড়ীর নারী তথা মা-বোনদের ধর্মের দোহাই দিয়ে দাড়িপাল্লায় ভোট চাচ্ছেন। এই ধর্মব্যবসায়ীদের কবল থেকে পরিবারের নারীদের ফেরাতে হবে। মুলত তারা নারীদের মাঝে ইসলামের মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে তাদের ভুলপথে ধাবিত করছে বলে জানান তিনি। এ অবস্থা থেকে তাদের রক্ষা করতে বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিজ এলাকার প্রতিটি বাড়িতে যাওয়ার পরামর্শ দেন মিলন। বক্তব্য শেষে তিনি বাকসারা এলাকায় বারনই নদীতে দেশী বিদেশী বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এরপর তিনি যুবদলের আয়োজনে আলোচনা সভায় যোগাদান করেন। সর্বশেষে বাকসারায় যুবদলের একটি কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
নওহাটা পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লা সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সদস্য শেখ মকবুল হোসেন, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার, পবা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা গোলাম মোর্তুজা, নাজিম উদ্দিন, মফিজ উদ্দিন, এমদাদ হোসেন, আফজাল হোসেন, যুবদল নেতা ইফতে খাইরুল ইসলাম ডনি, য্বুদল নেতা মকসেদ আলী, উজ্জল, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সজলসহ পৌর ও ওয়ার্ড যুবদল এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠেনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। #

















