শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের জীবন ও কর্ম নিয়ে রচিত ‘ন্যাশনাল লিডার এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের জীবন ও কর্ম নিয়ে ড. সালিম সাবরিনের রচিত ‘ন্যাশনাল লিডার এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদ করেছেন ড. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী মহানগর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। তেমনি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুর সাথে জাতীয় চার নেতার সম্পর্ক ছিল আত্মিক।
রাবি উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ছিলেন বহুমাত্রিক গুনের অধিকারী। তাঁকে নিয়ে গ্রন্থ রচনা করায় লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চের পরিচালক প্রফেসর ড. চিত্তরঞ্জন মিশ্র। তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল লিডার এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান’ গ্রন্থটি বাংলাদেশের ইতিহাসের ভান্ডারে অনন্য সংযোজন। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ইতিহাসে মাইলফলক।
শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কারাগারে থাকার সময় অনেক ডাইরী লিখেছিলেন, সেগুলো যদি উদ্ধার করা যেতো, তাহলে আমরা আরেকটি আত্মজীবনী পেতাম, ইতিহাস সমৃদ্ধি হতো।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবিকুঞ্জু রাজশাহীর সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে ভাগ করা যায় না। তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে ভাগ করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু জাতীয় চার নেতাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস হবে না। যতদিন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আদর্শ থাকবে ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ছিলেন একজন নির্মোহ ও নির্লোভ, ত্যাগী, মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ। বঙ্গবন্ধু তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতির গুরুদায়িত্বও দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এতটাই বিশস্ত ছিলেন তিনি।
সভায় মূল আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ডির্পাটমেন্টর প্রফেসর ড. প্রণব কুমার পান্ডে। তিনি গ্রন্থটির কাঠামোসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও শহীদ এ.এইচ.মে কামারুজ্জামানের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় গ্রন্থটির লেখক ড. সালিম সাবরিন বলেন, গ্রন্থটিতে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের জীবন ও কর্ম বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এরপরও বইটিতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এজন্য আগামীতে শহীদ কামারুজ্জামানকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ রচনা করবো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর তানবিরুল আলম। সভায় আরো বক্তব্য বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, গ্রন্থটির অনুবাদক বক্তব্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান, উৎস প্রকাশনীর প্রকাশক মোস্তফা সেলিম।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.