শহরে বৃষ্টির জলে দুর্ভোগ

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: চব্বিশ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়া সত্বেও এখনও বহু এলাকা কার্যত জলের তলায়। বিস্তীর্ণ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ গোটা রাজ্যের প্রায় একই হাল।
কখন জল নামবে সঠিক তথ্য এখনও কোনও আধিকারিক দিতে পারেনি। দক্ষিণ ও সংযুক্ত কলকাতা থেকে শুরু করে বিধাননগর, নিউটাউন,দক্ষিণ দমদমের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়।
উত্তর ও পূর্ব কলকাতায় জল নেমে গেলেও কলকাতা পুরসভা কে ভুগিয়েছে দক্ষিণ ও পূর্ব সংযুক্ত এলাকা গুলো। যাদবপুর, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, গল্ফগ্রীণ, টালিগঞ্জ, কুঁদঘাট, গড়িয়া, মুকুন্দপুর, সন্তোষপুর, পাটুলি, গড়ফা, নয়াবাদ, গার্ডেনরিচ,আলিপুর বডিগার্ড লাইন,খিদির পুর ও বেহালা সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের ভুগতে হয়েছে।
কোথাও কোমর জল,কোথাও বা হাঁটু জলে মানুষ বেসামাল হয়ে পড়ে। এতো জলে ঠিক মতো না চলল রিক্সা না অটো থেকে শুরু করে টোটো যদিও বা কোথাও চললতো চড়া দর হাঁকিয়েছে। নিউটাউন,সেক্টর ফাইভে কর্মসূত্রে বেরিয়ে দুর্ভোগের শিকার হন আমজনতা।
তার মধ্যে একুশ ঘন্টা বাদে কলকাতার কোনও কোনও এলাকায় বিদ্যুত ফেরে। জমা জলে পুকুরে ডুবে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটল শহরে। পূর্ব কলকাতার ১০৯নম্বর ওয়ার্ডের গত সোমবার মাঝ রাত থেকেই বিদ্যুত হীন হয়ে পরে। পাম্প না চলায় তীব্র জলসঙ্কটের সৃষ্টি হয়।
এই এলাকাতেই রয়েছে কিছু নামি বেসরকারী হাসপাতাল। রোগীদের মধ্যেও জল সঙ্কটের ও ওষুধ তথা খাদ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। রোগীদের নিকট প্রিয়জনেরা ও আসতে পারেনি। সি ই এস সি ও কর্পোরেশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে জমা জলে ফল্ট থাকায় অনেক জায়গাতেই নিরাপত্তার কারণে বিদ্যুত বন্ধ রাখতে হয়েছে। জল বিপদ সীমার নিচে নামলে ফের বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হবে।
বিদ্যুতের অভাবের জন্য অন্ধকার থাকায় গত সোমবার রাতে স্বপন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির পুকুরে ধারে পড়ে মৃত্যু হয় দত্তাবাদ এলাকায়।
সল্টলেকের একাধিক এলাকায় এখনও জল নামেনি। কার্যত জল মাথায় করেই অফিস যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয়।বৃষ্টি কমেগেলেও জল না নামায় এলাকায় তীব্র খোভের সৃষ্টি হয়।
এন ডি আই টি র দাবি, সমস্ত পাম্প চালিয়ে জল বের করবার চেষ্টা করা হয়েছে। বেশ কিছু ম্যানহোলও খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন না হওয়াতে নিত্য যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ চরমে ওঠে।
একই সঙ্গে এদিনও লেকটাউন,পাতিপুকুর আণ্ডার পাস,কালিন্দী, বেদিয়া পাড়া সহ দক্ষিণ দমদমের একাধিক এলাকা ছিল জলের তলায়। চিনার পার্ক, হলদিরামের ও একই অবস্থা।
পুরসভার নিকাশি বিভাগের আধিকারিকরা বলেন,শহরকে ঘিরে ও অভ্যন্তরে সেচদপতরের হাতে থাকা নিকাশি খালগুলোর নাব্যতা না থাকাতেই জল নামানো যায় নি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.