শস্য রপ্তানির জন্য প্রস্তুত ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দর

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ আগ্রাসনের পর থেকে বন্ধ ইউক্রেনের সমুদ্রবন্দরগুলো। গোটা বিশ্বে খাদ্য রপ্তানি করা হতো এসব বন্দর দিয়ে। কৃষ্ণসাগরে তীরে ইউক্রেনের ওই বন্দরগুলো আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বন্দরগুলো চালুর ব্যাপারে এ ইঙ্গিত দেন।
এ বিষয়ে শুক্রবার রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সই করছে ইউক্রেন। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় তুরস্কের বৃহৎ নগরী ইস্তানবুলে দুপক্ষের প্রতিনিধিরা বসবেন।
এতে উপস্থিত থাকবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও। মধ্যস্থতাকারী তুরস্কের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে হবে চুক্তি সই।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এক টুইটবার্তায় জানান, ‘শস্য রপ্তানি চুক্তি, যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইস্তানবুলে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের পৃষ্ঠপোষকতায় ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান প্রতিনিধিদের চুক্তি সই হবে।’
ইস্তানবুলে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের পৃষ্ঠপোষকতায় ইউক্রেনীয় ও রাশিয়ান প্রতিনিধিদের চুক্তি সই হবে।’
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম কয়েক দফা বেড়ে গেছে। ফলে খাদ্যসংকটে পড়েছে বিশ্বের বহু দেশ।
গত দুই মাস ধরে খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে যুদ্ধরত দেশগুলোর সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা করে আসছে জাতিসংঘ ও তুরস্ক। অবশেষে সেই উদ্যোগ সফল হতে যাচ্ছে।
বিশ্বে খাদ্যের ১০ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈশ্বিক গম রপ্তানির ৩০ শতাংশের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে তারা।
কমপক্ষে ২৬ দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল। (সূত্র: রয়টার্স)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.