শরীয়তপুরপ্রতিনিধি: শরীয়তপুরে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের চরস্বর্ণঘোষ গ্রামের কুদ্দুস আকনের বাড়িতে এক সপ্তাহ আগে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
গতকাল শনিবার (২৬ জুন) নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে নির্যাতনকারী দুজনকে শনাক্ত করে পুলিশ।
আজ রবিবার (২৭ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চরস্বর্ণঘোষ গ্রাম থেকে দুই যুবককে আটক করা হয়। তারা হলো– চরস্বর্ণঘোষ গ্রামের নুরুল ইসলাম শরিফের ছেলে জাকির হোসেন শরিফ জামির (৩৫) এবং সাত্তার ফকিরের ছেলে দবির ফকির (২১)।
১২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গভীর রাতে একটি বসতঘরের সিঁড়ি বারান্দায় এক তরুণী বসে আছেন। তার পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দুই যুবককে। তারা কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে তরুণীকে পেটাতে শুরু করেন একজন।
কুদ্দুস আকনের স্ত্রী রহিমা বেগম বিটিসি নিউজকে জানান, সপ্তাহখানেক আগে রাতে হঠাৎ একটি মেয়ে ঘর খুলতে বলেন। তিনি ভয়ে দরজা না খুলে বিষয়টি ফোনে এক আত্মীয়কে জানান। পরে সেই আত্মীয়ের পরামর্শে তিনি দরজা আটকে ঘরেই বসে থাকেন। এর কিছুক্ষণ পর চিৎকার ও মারধরের শব্দ শুনতে পান। তবে ভয়ে তিনি দরজা খুলে বাইরে কী ঘটছে, তা দেখার সাহস পাননি।
তুলাসার ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ ফকির বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার তরুণীকে মাসখানেক ধরে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন। কিন্তু কেউ তার ঠিকানা, পরিচয় বলতে পারেননি।’
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তার হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ভিডিওটি পুলিশের হাতে এসেছে। ইতোমধ্যে শনাক্ত করে জামির ও দবিরকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে ওই তরুণীকে শনাক্ত করা যায়নি।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘তরুণীকে নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে দেখতে পাই। তাৎক্ষণিক বিষয়টি পুলিশকে জানাই। তারা শনাক্ত করে দুজনকে আটক করেছে। বিষয়টির খোঁজখবর রাখছি।’
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.