শরণখোলায় ঘূর্নীঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ রিংবাধ নির্মানের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে শুরু

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ রিংবাধ নির্মান ও নদীর তীর রক্ষার কাজ অবশেষে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী এ কাজের দায়ীত্ব নেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর মাঝে।

তবে আপাদত সংকট নিরসনের জন্য রিং বাঁধ নির্মান করার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে নদী শাসন করে টেকসই বেড়ীবাধ নির্মানের দাবীও জানিয়েছেন তারা। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা, আঃ রাজ্জাক দিপু, মোঃ সেলিম হোসেন, বাবুল হাওলাদার, সোহাগ হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গত ১৭ জুন ভাঙ্গন কবলিত সাউথখালীর আশার আলো মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বগী পর্যন্ত দ্রুত এগিয়ে চলছে রিং বাধের কাজ।

বাগেরহাটের শরণখোলা ঝড়- জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙ্গন কবলিত একটি এলাকা। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে এখানের হাজার হাজার পরিবার আজ ভূমিহীন। বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গন তাদের জীবন সাথী।ঘূর্নীঝড় সিডর ও আইলায় এখানের মানুষের জীবনের চিত্রপট পাল্টে দিয়েছে। বসিয়েছে দারিদ্রতার আসনে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, গত ঘূর্নীঝড় আম্পান উপজেলার ৩৫/১ বেড়িবাধের পোল্ডারের দক্ষিন সাউথখালী ও বগী এলাকার প্রায় ২ কিঃমিঃ বেড়ীবাধ গড়িয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

আটটি পয়েন্টে হয় ভাঙ্গন। দীর্ঘ দিন মানুষ থাকে লবন পানি বন্দি। জোয়ার ভাটার সাথে সম্পর্ক রেখে মানবেতর জীবন যাপন করে তারা। ভাঙ্গন কবলিত মানুষের দাবীর মুখে প্রায় ১ মাস পর শুরু হয় এখানে রিং বাধ নির্মান ও নদীর তীর রক্ষার কাজ।

এ কাজের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের একটি বীর ইউনিট। ১৭’শ মিটার রিংবাধ নির্মান ৬’শ মিটার নদীর তীর রক্ষা কাজের দেখাশোনা করছেন তারা। ভেঙ্গে যাওয়া বাধের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্রীজের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে ইতোমধ্যে। এ কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে ৬ টি স্কেবেটর।

১৭শ মিটার বাঁধ তিন ভাগে বিভক্ত করে তিন ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদার মোঃ ইলিয়াস খান বাঁধ জানান, কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

সেনাবাহিনীর নিযুক্ত তত্ত্ব্যবধয়ক প্রকৌশলী হাসান ইমাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কাজ চলছে আশা করি ৩ সপ্তাহের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.