সিলেট ব্যুরো: শব্দ দূষণের কারণে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়তে পারে শিশুরা। এজন্য হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধসহ সবক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, সুস্থ ও সভ্য সমাজ গঠনে অযথা হর্ন বাজানো বা অপ্রয়োজনীয় শব্দ বন্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সিলেট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের সচেতনতামূলক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মানসিক ক্লান্তি ও অবসাদ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্নায়ুবিক সমস্যা, অমনোযোগিতা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং বধিরতাসহ প্রায় ৩০ ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে।
মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের প্রয়োগ হচ্ছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। শুধু মামলা ও শাস্তি দিয়ে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। এক্ষেত্রে গাড়িতে সঠিক মাত্রার হর্ন লাগাতে হবে, গাড়িচালককে অযথা হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। শব্দ দূষণের সব উৎস আমরা সম্মিলিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পথচারীরা নিয়ম মেনে রাস্তা পারাপার হলে হর্ন বাজানোর প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। এছাড়া সব যানবাহনকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। নির্মাণকাজে নিয়ম মেনে ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে শব্দ দূষণ কমে আসবে।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দের মাইক ব্যবহার বর্জন করা যেতে পারে জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সচেতন ও নিয়ন্ত্রিত আচরণই শব্দ দূষণের সব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
সিলেটের কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি নাবিলা জাফরিন রীনা, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন প্রমুখ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.