লোহিত সাগরে বিস্ফোরণের দাবি যুক্তরাজ্যের, জাহাজ পরিচালনায় সতর্কতা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লোহিত সাগরের বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন এজেন্সি (ইউকেএমটিও)।
পাশাপাশি রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ওই এলাকায় ড্রোনের তৎপরতাও শনাক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই প্রণালীতে সতর্কতার সঙ্গে জাহাজ চালানোর পরামর্শ দিয়েছে ইউকেএমটিও।
সংস্থাটি বলেছে, বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে ড্রোনের তৎপরতা দেখা গেছে। এসব ড্রোন ইয়েমেন থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে প্রণালী ও এর আশপাশের এলাকায় সব জাহাজকে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে ইউকেএমটিওর এই দাবির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি দেশটির বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এমনকি, উপকূলীয় এলাকায় চলাচলকারী ইসরায়েলের সব জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে হুথি।
গত মাসে ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি মালবাহী জাহাজ জব্দ করেছিল হুথি বিদ্রোহীরা। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীগোষ্ঠী লোহিত সাগরের উপকূলীয় এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলে দফায় দফায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে রোববারের বিস্ফোরণের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি হুথি।
গত সপ্তাহে এডেন উপকূলে ইসরায়েলি মালিকানাধীন একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ছিনতাই করে হুথি বিদ্রোহীরা। পরে মার্কিন নৌবাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই জাহাজটি উদ্ধার করে।
এদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও উপস্থিতি বাড়াতে নিজেদের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, নৌচলাচলের স্বাধীনতা ও বাণিজ্যের নিরাপদ প্রবাহ নিশ্চিত করতে মধ্যপাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি ‘টাইপ ৪৫ ডেস্ট্রয়ার— এইচএমএস ডায়মন্ড’ জাহাজ পাঠানো হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, যুক্তরাজ্যের স্বার্থকে অস্থির ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্ব থেকে সুরক্ষিত রাখতে এই অঞ্চলে আমাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করা দরকার। মূলত ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রভাব ও ১৯ নভেম্বর লোহিত সাগরে হুথিদের হাতে ইসরায়েলি পণ্যবাহী জাহাজ জব্দ হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.