লুসি খানের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বিএনপি নেতারা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্‌বায়ক ও গত সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে বিএনপিরই নেত্রী ডা. লুসি খানের আনা মামলা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মুখ খুলেছেন বিএনপি নেতারা। এন্তার অভিযোগ এনেছেন লুসির বিরুদ্ধে। মেয়র নির্বাচনে সৃষ্ট ইমেজ ধ্বংস করার জন্যই শাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন লুসি খান- এমনটিই দাবি বিএনপির।
চাঁদাবাজির মামলায় শাহাদাতকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযোগ আনা ‘হাস্যকর, মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ, যা বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি নেতা শাহাদাত রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের শিকার। কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করাও রহস্যজনক।
গতকাল বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি। ডা. শাহাদাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করে ডা. লুসি খান মামলা করেছেন। মুজাফফর আহমেদ এবং তিন নম্বর আসামি ফাতেমা জহুরা, যিনি মুজাফফরের স্ত্রী। বলা হয়েছে, শাহাদাত হোসেনের নির্দেশে জনৈক ডা. লুসি খানের মহাসচিবকে অপহরণ করা হয়েছে এবং চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
বাদী লুসি খান বলছেন, গত ২০ মার্চ তার এনজিওর অফিসে গিয়ে তার সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়েছে এবং চাঁদা দাবি করা হয়েছে। মুজাফফর আহমেদ প্রায় ২০ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তাঁর স্ত্রী ২০২০ সালে করোনা শুরুর আগে বাংলাদেশে আসেন এবং ১১ মার্চ ২০২১ সাল থেকে মুজাফফর আহমদ সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। চাঁদা দাবি এবং অপহরণের কথা বলা হচ্ছে, যে লোক বাংলাদেশে নেই তার বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক হয়রানি এবং একজন শিক্ষিত লোকের চরিত্রহনন বিরোধী দল করলে বাংলাদেশে এখন কতটা সহজ হয়ে গেছে, সেটাই এ মামলায় প্রমাণ।
অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ বলেন, মুজাফফর এবং ফাতেমা জোহরার স্থায়ী ঠিকানা চন্দনাইশ উপজেলা। ডা. শাহাদাতের গ্রামের বাড়িও চন্দনাইশে। ফাতেমার কাছ থেকে লুসি খান ২০২১ সালের ৯ মার্চ তিন কোটি টাকার একটি জায়গা নিয়েছেন। চার আনা পয়সাও ওই মহিলাকে লুসি খান দেননি। রেজিস্ট্রি দলিলের নম্বর ৭৬১/২১। এক টাকাও প্রবাসী এবং তার স্ত্রীকে না দিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে তার কাছ থেকে জায়গাটা হাতিয়ে নিয়েছেন লুসি খান। মামলা দায়েরের আগে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করার নিয়ম আছে। কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই অভিযোগকে মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা এখন চট্টগ্রামবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্‌বায়ক এম এ আজিজ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্‌বায়ক অ্যাডভোকেট এ এস এম বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক এনাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, সদস্য এনামুল হক এনাম, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্‌বায়ক সৈয়দ আজম উদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান স..জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.