লুকাস মউরার হ্যাটট্রিকে ঐতিহাসিক ফাইনালে টটেনহ্যাম

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক:  ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গারের হ্যাটট্রিকে গতকাল বুধবার রাতে আয়াক্সকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও লুকাস মউরার জাদুতে দারুণ প্রত্যাবর্তন।

নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরেছিল টটেনহ্যাম হটস্পার। তাই দুই লেগ মিলে ৩-৩ এ সমতা হলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিত হয় ইংলিশ জায়ান্টদের।

এর আগে ২০০৭-০৮ আসরে দুই ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি ইউরোপ সেরার মুকুটের জন্য লড়াই করে। আগামী ১ জুন মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল ম্যাচ।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় আয়াক্স। দুসান তাদিচের নীচু শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান টটেনহ্যাম গোলরক্ষক লরিস। তবে সেই কর্নার থেকেই দারুণ হেডে মাতাইস দি লিট আয়াক্সকে এগিয়ে নেন।

৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাকিম জাইয়েক। বাঁ দিক থেকে স্বদেশি মিডফিল্ডার ফন দে বেকের কাটব্যাক থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান ডাচ মিডফিল্ডার।

ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে তখন দারুণ ফুরফুরে মেজাজে আয়াক্স। অবশ্য আসল নাটকীয়তাটা তখনও বাকি ছিল। লুকাস মওরা যেন সেটা তুলে রেখেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধের জন্য।

৫৫ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় টটেনহ্যাম। মাঝমাঠ পাল্টা আক্রমণে বল নিয়ে সামনে বাড়ান ডেলে আলি। সেই বলে ডি-বক্সে ঢুকে নিচু শটে ব্যবধান কমান মউরা। চার মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোল।

এ সময় ফার্নান্দো লরেন্তের শট প্রথম দফায় আয়াক্সের গোলরক্ষক রুখে দিতে সক্ষম হন। তবে ফিরতি বলে বাঁ পায়ের শটে দ্বিতীয় গোল করেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।

ম্যাচে সমতা ফেরায় আশাবাদী হয়ে ওঠে টটেনহ্যাম। যদিও তখনও দুই লেগ মিলে আয়াক্সই ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে। তবে অতিরিক্ত সময়ে সেই ব্যবধানটাও ঘুচিয়ে দিলেন মউরা।

যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে ডেলে আলির পাস থেকে পাওয়া বলে ডি-বক্সে ঢুকে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এর মাধ্যমে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার করার পাশাপাশি দলকেও নিয়ে যান ফাইনালে। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.