লাশের পেটে মেহেদি দিয়ে লেখা ‘তোর কারণে মরণ আমার, ক্ষমা করে দিস’

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে তামান্না আক্তার (১৮) নামের এক তরুণীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তামান্নাকে পরিবারের সদস্যরা অচেতন অবস্থায় ঘরের মধ্যে দেখতে পেয়ে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইদ্রিস তামান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইদ্রিস জানান, নিহতের গলায় দাগ দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি।
পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আব্দুল ওয়াদুদ এর নেতৃত্বে একদল পলিশ হাসপাতালে পৌঁছে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে জানান, নিহতের শরীরের গালায় দাগ, ঠোটের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বিশেষ করে লাশের পেটে মেহেদি দিয়ে লেখা ‘তোর কারণে মরণ আমার, ক্ষমা করে দিস (এ)।’নিহতের পিতা কাপ্তাব মিয়া বলেন, তামান্না আমার মেজে মেয়ে, সে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর আর লেখাপড়া করেনি। আমি বাজারে ছিলাম, ফিরে এসে তামান্নাকে না দেখতে পেয়ে ডেকে আনার জন্য তামান্নার সতমাকে তার রুমে পাঠাই।
তামান্নাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করলে আমি দৌঁড়ে গিয়ে দেখতে পাই, তামান্না অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তামান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার মেয়ের কোনো ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার জানা নেই।
এদিকে তামান্না পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তামান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে শীঘ্রই আমরা এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হব।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.