লালমনিরহাটে পিইসি পাসের প্রশংসাপত্র ৩ হাজার টাকা!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) পাসের প্রশংসাপত্র বাবদ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। জেলা শহরের হাড়িভাঙ্গা এলাকায় আদর্শ ইসলামিক স্কুলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ওই স্কুল থেকে চলতি বছর ২৫ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষায় (পিইসি) অংশগ্রহণ করে। শতভাগ পাস নিয়ে জিপিএ-৫ পায় ২০ জন পরীক্ষার্থী।
পিইসি পাস শিক্ষার্থীরা নতুন প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে সনদপত্র ও প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রশংসাপত্র আবশ্যক।
জেলার সকল প্রতিষ্ঠানে প্রশংসাপত্র বিনামূল্যে সরবরাহ করলেও আদর্শ ইসলামিক স্কুলে প্রশংসাপত্র প্রতি বিনা রশিদে ৩ হাজার টাকা ফি আদায় করছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। অনেক গরিব শিক্ষার্থী টাকা দিতে না পেয়ে সংগ্রহ করতে পারছেন না প্রশংসাপত্র। ফলে তারা ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না।
আদর্শ ইসলামিক স্কুল থেকে পিইসি পাস শিক্ষার্থী আল আমিন, ইয়াসিন আরাফাত, মুশফিকা জান্নাত দিশা ও জানাতুল আশরাফি জুতি বলেন, আমরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পাশকৃত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্র লাগে। কিন্তু আদর্শ ইসলামিক স্কুলে প্রশংসাপত্র ফি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। টাকা নিলেও কোন রশিদ দেয়া হয় না। প্রশংসাপত্র না দিলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তারা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিভাবক সোহরাব হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার দুই মেয়ে স্বর্না ও বন্যা এ প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু দুই মেয়ের প্রশংসাপত্র নিতে ৬ হাজার টাকা লাগে। প্রশংসাপত্র নতুন প্রতিষ্ঠানে জমা না দিলে মেয়েদের ভর্তি বাতিল করা হবে।
আদর্শ ইসলামি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এরশাদুল হক দাবি করেন, ৩ হাজার নয়, মাত্র ৩ শত টাকা নেয়া হয়েছে প্রশংসাপত্র বাবদ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, প্রশংসাপত্র বাবদ অর্থ নেয়ার নিয়ম নেই। বিষয়টি জেনে আদর্শ ইসলামিক স্কুলের কর্তৃপক্ষকে জবাব দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.