লালমনিরহাটে তৃণমূলের ভরসা এ্যাড. মতিয়ার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার তৃণমূল আওয়ামীলীগের ভরসা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মতিয়ার রহমান। জীবনের বেশিরভাগ সময় রাজনীতিতে ব্যায় করেছেন এ্যাড মতিয়ার রহমান। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় এই জেলায় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাদের মাঝে গ্রুপিং থাকলেও সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সকল গ্রুপিংয়ের উর্দ্ধে থেকে তিনি ছুটে চলেছেন তৃণমূল থেকে তৃণমুলে।
 নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে সবসময় পাশে থাকেন এ্যাড. মতিয়ার রহমান । তিনি জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন, মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও তিনি কেন্দ্রর সকল সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত মনে করে জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করেছেন।
তার রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার কারাবরণ ও বিভিন্ন সময়ে জুলুম ও নির্যাতনের স্বিকার হয়েছেন। তার রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কারনে একমাত্র কন্যা নিশাত রিদওয়ানা সেঁজুতির গলাতেও ছুরি ধরেছিলো সেই সময়ের বিএনপি সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী। সেই সময়ে নির্মম নির্যাতনের স্বিকার হয়েছিলো মতিয়ার রহমানের পরিবার । আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে থাকা মতিয়ার রহমানের নামে ১৯৮৬ সালে একদিনে ১১টি মামলা হয়েছিলো।
রাজনৈতিক মামলায় ২০০৩ সালে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। বিএনপি জামাত জোট সরকারের জুলুম নির্যাতনের স্বীকার মতিয়ার রহমান তৃণমূল থেকে উঠে এসেছেন ।
এ্যাড. মতিয়ার রহমান ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন। তিনি ছোটকাল থেকে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে তার আদর্শ হৃদয়ে লালন করেন। স্কুলের বাচ্চারা যখন খেলার মাঠে সময় দিতেন তখন তিনি বড়দের সাথে মিশে বঙ্গবন্ধুর কথা শোনার চেষ্ঠা করতেন। তিনি যখন শুনতেন তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা, তুমি কে আমি কে বাঙালী  বাঙালী, বীর বাঙালী অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু-ঠিক সেই সময় থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রেমে পড়ে যান। হৃদয়ে ধারন করেন বঙ্গবন্ধুকে।
১৯৭৩-৭৪ সালে সেই সময়ে তিনি ছাত্রলীগের স্কুল কমিটির সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান যখন রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেন তখন তিনি চুপিসারে ঘরে ঘরে রাজনীতির কথা বলতেন । ১৯৭৯ সালে তিনি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে তিনি লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৪ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৬ সালে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পান। ১৯৮৬-২০০৬ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করে ওই বছরেই জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. মতিয়ার রহমান লালমনিরহাটের একজন জনপ্রিয় নেতা। যার সম্পর্ক লালমনিরহাটের মাটি ও মানুষের সাথে। এক সময়ে বিএনপির দখলে থাকা লালমনিরহাটে আওয়ামীলীগের প্রত্যেকটি আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন এ্যাড. মতিয়ার রহমান।
আগামী কল ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নেতাকর্মীদের মাঝে চুলছেরা বিশ্লেষণ। তৃনমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আবারও মতিয়ার রহমানকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান। কারণ হিসেবে তারা দাবী করেন,দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামীলীগের হাল ধরে আছেন মতিয়ার রহমান। তৃণমুল নেতাকর্মীদের পাশে সবসময় থাকার কারনে দলীয় নেতাকর্মী মতিয়ার রহমানের বিকল্প মতিয়ার রহমানকে দেখছেন। তিনি আওয়ামীলীগের নিবেদিত একজন কর্মী। নেতাকর্মীদের সুখে দুঃখে সব সময় মতিয়ার রহমানকে কাছে পান।
এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে আরো একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তবে দলীয় নেতাকর্মীরা মতিয়ার রহমানকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.