লালমনিরহাটে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে বই বিতরন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: নতুন বছরের পহেলা জানুয়ারীতে  গোড়ল দাখিল মাদরাসায় বই বিতরনের এমন চিত্র ওই মাদরাসার শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করলে মহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এমন চিত্র দেখে  ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট জনেরা।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে বই বিতরন করে ভাষা শহীদদের চরমভাবে অবমাননা করেছেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও মাদরাসা শিক্ষকরা।
ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল দাখিল মাদরাসায়।
শহীদ মিনার বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য অত্যন্ত শ্রদ্ধা এবং ভক্তির একটি নিদর্শন। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাঙালি জাতি খালি পায়ে প্রভাত ফেরী করে শহীদ মিনারে এসে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সারাবছর সেই ভক্তি মনে লালন করে।
প্রতিদিন ফুল না দিলেও শহীদ মিনারকে অন্য রকম দৃষ্টিতে দেখে কারণ এই ভাষা শহীদদের জন্যই আমরা আজ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি। সারা বিশ্বের যে কোন জায়গায় যেয়ে বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু সেই জাতিকে চরমভাবে কলঙ্কিত করলো গোড়ল মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শিক্ষকমন্ডলী।
জুতা পায়ে শহীদ মিনারে উঠে বই বিতরন করার সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নুর আমিন , বিএসসি  শিক্ষক , সহকারী শিক্ষক(কম্পিউটার) ও সহকারী শিক্ষক মৌলভী আঃ রশিদ সহ অন্যরা।
গোড়ল দাখিল মাদরাসার সুপার মোবাশ্বের রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, জুতা পায়ে ছিল কিনা সেটা খেয়াল করা হয়নি বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয় অত্র মাদরাসার সভাপতি নুর আমিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আসলে ওই মহুর্তে খেয়াল করা হয়নি তাই এ রকম ভূল হয়েছে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, জুতা পায়ে বেদীতে উঠলে শহীদদের অসম্মানই করা হয়। এটা আসলেই দুঃখজনক। কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকলে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব
তাদের এই ধরনের কাজে এলাকাবাসী তীব্র সমালোচনা করে বলেন শিক্ষকদের দ্বারা যদি এই ধরনের কাজ হয় তাহলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের দ্বারা কি শিক্ষা নিতে পারে? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেন এলাকার সচেতন মহল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.