লালমনিরহাটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ। এই ঈদকেই সামনে রেখে জমে উঠেছে লালমনিরহাটের  মার্কেটগুলো। শুধু জেলা শহরের মার্কেটগুলো নয় সেই সাথে জমে উঠেছে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার হাটবাজারের ছোট বড় মার্কেটগুলো। অনেকে ইতোমধ্যে সেরে ফেলেছেন কেনাকাটা।

তবে বাজারমুখী মানুষের ঢল এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি। কেননা এখনও ধান মাড়াইয়ের মৌসুম অব্যাহত রয়েছে।

দিনে রোদের তীব্রতা ও রাতে বৃষ্টি এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ক্রেতারা সংগত কারণেই ঈদের কেনাকাটা করতে পারছে না। তবে বিপণী বিতানগুলোতে সবে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা।

তবে বিপণী বিতানগুলোতে সবে জমে উঠতে ঈদের কেনাকাটা। এবারে ভারতীয় কাপড়ের চাহিদা থাকলেও ক্রেতারা দেশি কাপড়ের দিকে ঝুঁকছেন বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান। তবে ক্রেতাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই বেশী। পুরুষ ক্রেতারা একদম নেই বললেই চলে।

সরেজমিনে দেখাগেছে, জেলার কালীগঞ্জ, তুষভান্ডার, কাকিনা, ভোটমারী, ভুল্লারহাট, চাপারহাট, শিয়ালখোয়া সহ বেশ কয়েকটি হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের কাপড়ের দোকানগুলোতে সারাদিন টুকটাক ভিড় থাকলে বিকালের দিকে একটু বেশি ভিড় দেখাযায় তবে সন্ধ্যার পরে ক্রেতাদের ভিড় বেশি হয়।

ক্রেতারা বিটিসি নিউজকে বলেছেন, গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি হলেও ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠতে শুরু করেছে বাজার।

তবে ব্যবসায়িরা বিটিসি নিউজকে জানায়, কেনাকাটা শুরু হয়েছে ১৫ রোজার পর থেকে। এবার ভারতীয় কাপড়গুলোতে পেছনে ফেলে বাজার দখল করেছে দেশীয় সুতি কাপড়। গরমের কারণে দেশি সুতি থ্রি পিসগুলো সবার পছন্দ ও বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। সমানতালে বিক্রি হচ্ছে ইন্ডিয়ান গাউন ও কাজ করা লং ফ্রোক।

এছাড়া শিশুদের হরেক রকম পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশী। তবে শিশুদের পোশাকের দাম অপেক্ষাকৃত বেশী।

এছাড়াও জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের পাশাপাশি কালার শার্ট ফুলশার্ট, চেক শার্ট, এক কালার শার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। টপ, স্কার্ট, ফ্রকও রয়েছে ছোটদের পছন্দের তালিকা। হরেক রকমের বর্ণালী পাঞ্জাবির চাহিদাই এবার সর্বাধিক। এক রংয়ের বা সাদা পাঞ্জাবির দিকে নজরই দিচ্ছে না ক্রেতারা। জুতার দোকানগুলোতে ভীড় বাড়তে শুরু করেছে।

একজন বিক্রেতা বিটিসি নিউজকে বলেন, ক্রেতার চাহিদা অনুসারে আমরা দেশি বিদেশি দুই অনুসারে আমরা দেশি বিদেশি দুই ধরণের পোশাকই বিক্রি করছি। সন্ধ্যার পর থেকে ক্রমেই ক্রেতা বাড়ছে। এবারের ঈদে বেচাকেনা ভালই হবে বলেই বিক্রেতারা আশা করছেন। এছাড়াও এমব্রয়ডারি,  হাতের কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট ও কারুকাজ করা বাহারি শাড়িরও চাহিদা রয়েছে বিপনী বিতানগুলোতে।

এদিকে জুতার দোকানেও রয়েছে অনেক ভীড়। জুতা ব্যবসায়ী আমজাদ বলেন, আমাদের জুতার দোকানে ভীড় থাকলেও গতবারের মত বিক্রি নেই। একারণে জুতা ব্যবসায় লস হতে পারে।

হাট বাজারগুলোতে রাস্তার পাশের ফুটপাতের দোকানে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ কেনাকাটা করছে। তবে তারাও বলছে গতবারের চেয়ে এবারে দাম অনেক বেশি।

নুর আলমগীর অনু নামের একজন ক্রেতা বিটিসি নিউজকে বলেন, ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই, দাম বেশি হওয়ায় বাড়ির সকলের জন্য কেনা হলো না।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট  প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.