লালপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নবম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রী ইতি রানী অপহরণের ১৭দিনেও উদ্বার হয়নি 

পাবনা প্রতিনিধি:  নাটোরের লালপুরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী কে অপহরণের ১৭ দিনেও ইতি রানী হালদার (১৪) কে পুলিশ উদ্বার করতে না পারলেও অপহরনের ২ সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। সারা রাত থানা হাজতে রেখে ২দিন পর থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।

ইতি রানি হালদাদের পরিবারের অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ইতি রানীর পরিবার ও গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে প্রতিদিনের ন্যায় লক্ষিপুর সংখ্যালঘু আনন্দ হালদারের কন্যা ইতি রানী হালদার প্রাইভেট পরতে যায়। প্রাইভেট পরে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে লালপুর থানার সরনাপন্ন হয়।

থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগ দাখিল করার সময় লালপুর উপজেলা হিন্দু বৌদ্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক শ্রী প্রদীপ কুমার সরকার, ইউনিয়ন শাখা হিন্দু বৌদ্ধ পরিষদের সাধারন সম্পাদক শ্রী জগনাথ সুত্রধর সহ অনেক হিন্দু সম্প্রদায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তাদের দেয়া অভিযোগের ভিক্তিতে ঐ রাতে পুলিশ অপহরন কারীদের ২ সদস্য সহ ১টি মটর সাইকেল ও সিএনজি চালককে আটক করে থানা হাজতে রাখেন। আটককৃতরা হলেন’ খোকন, পিতা- আইনূল হক, সাং- লালপুর, থানা- লালপুর, জেলা- নাটোর। এবং আব্দুল খালেক, পিতা- জলিল, সাং- নূরুল্লাপুর, থানা- লালপুর, জেলা- নাটোর। আটকের ২ দিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে শ্রী প্রদীপ কুমার সরকার ও জগনাথ সুত্রধর সহ অন্যন্যরা জানান।

এদিকে ইতি রানী হালদারের বাবা মার বাড়িতে গেলে তারা কান্না জড়িত কণ্ঠে বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার মেয়ে ওরা তুলে নিয়ে গিয়ে কোথায় রেখেছে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আজ ১৭ দিন হলো আমরা সংখ্যালঘু পরিবার আর গরীব মানুষ বলে আমরা আমাদের মেয়েকে আমাদের মাঝে ফিরে পাবো না? এই আর্তনাথ এখন পরিবারে বিরাজ করছে।

এদিকে থানায় মামলা না নেওয়ার বিষয় সেকেন্ড অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমাদের কাছে কোন মামলা দেয়নি। শুধু একটা লিখিত কাগজ দিয়েছে মেয়েকে উদ্বার করার ব্যাপারে। অপর প্রশ্নের উত্তরে বলেন হয়ত দুই একদিনের মধ্যে আমরা উদ্বার করতে সক্ষম হবো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর পাবনা প্রতিনিধি মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.