লালপুরে ভূমিহীনদের স্বপ্ন এখন কচুরিপানার নিচে, দেখার নেই কেউ

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গুচ্ছগ্রামের ২৩জন ভূমিহীন কৃষকের চোখে মুখে এখন শুধুই হতাশার ছাপ। আর এই হতাশার অন্যতম কারণ সাম্প্রতিক অতিবর্ষণে ডুবে যাওয়া ২৩ বিঘা জমির ধান। গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন পাল্লাডাঙ্গা নদীর তীরবর্তী সরকারী প্রজেক্টের ধান’ই তাদের একমাত্র ভরসা।

বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ও জমানো সহায় সম্বলের খরচ থেকে ধান চাষ করেন তারা। প্রতিবছর ধানের ভালো ফলন হওয়ায় তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও দূর হয়। কিন্তু এ বছরের আম্পান ঝড় ও অতি বর্ষনের ফলে একেবারে তলিয়ে গেছে তাদের ধান। এ নিয়ে বেশ চিন্তিত এখানকার ভূমিহীন কৃষকরা।

তারা বলেন, সরকারী সহযোগীতা না পেলে এ বছর তাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।

এই প্রজেক্টের ম্যানেজার আতোয়ার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, একমাত্র আমাদের এই প্রজেক্টই ভরসা। সরকার যদি আমাদেরকে একটু সহযোগিতা না করে এ বছর আমাদের কষ্টের অন্ত থাকবে না।

গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুচ্ছগ্রামের পাশ ঘেষা পাল্লাডাঙ্গা নদী ঘেষা ধানের প্রজেক্ট পুরোপুরি কচুরিপানার নিচে তলিয়ে গেছে।

এ সময় ভূমিহীন আসকান, সাহাবুল, রাজিব, জিয়া, আসাদুল, রুপবান বলেন, আমাদের সহায় সম্বল এবার কচুরিপানায় খেয়ে নিছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কেউ খোঁজ নেয়নি। শুনেছি আম্ফা নের ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারীভাবে তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের খোঁজ কেউ নিলো না।

এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি বিষয়টি জানতাম না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমি আগামীকালকেই সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমিহীন কৃষকদের তালিকা করে সহযোগীতার ব্যবস্থা করবো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি নাহিদ হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.