লালপুরে গৃহবধূ স্মৃতিকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে মোহরকয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয় স্বামী আব্দুল জব্বার। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দী দেয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গত ১৭ জুলাই উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের বাড়ির পাশে পুকুর থেকে জব্বার স্ত্রী স্মৃতি খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় স্মৃতির পিতা সেলিম আলী বাদী হয়ে মোহরকয়া গ্রামের ইসাহাক প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল জব্বারকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে লালপুর থানার পুরাতন ঈশ্বরদী এলাকা থেকে গত ২১ জুলাই আব্দুল জব্বারকে গ্রেফতার করে লালপুর থানা পুলিশ ।

পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জব্বার স্বীকার করে পারিবারিক কলহের কারণে সে স্মৃতিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খাবার স্যালাইনের সাথে ১০ টি ঘুমের ট্যাবলেট গুড়ো করে মিশিয়ে দেয়।

এরপর স্মৃতি ঘুমিয়ে পড়লে তারঁর বুকের ওপর পা তুলে দিয়ে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে স্মৃতিকে হত্যা করে লাশ গোপন করার জন্য পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। সে আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্দী দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনঅতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, ডিবির ওসি আনারুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.