লালপুরে অবৈধভাবে পদ্মানদী থেকে ‘ভরাট’ উত্তোলন করছে যুবলীগ সভাপতি!

ফাইল ছবি
ক্রাইম রিপোর্টার: নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে চৌকিদার পাহারা দিয়ে ভরাট উত্তোলন করেছে ইউপি চেয়ারম্যান, লালপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি। ফসলি জমি রক্ষা করতে স্থানীয় লোকজন ইউএনও সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে।
স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, লালপুরের বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও লালপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পদ্মানদীর দিয়াড়শংকরপুর ও নওসারা সুলতানপুর এলাকায় ফসলী জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে ভরাট (মাটি যুক্তবালি) উত্তোলন করে বিক্রি করছে। ফলে ফসল নষ্ট হচ্ছে কৃষকের। অপর দিকে বর্ষা মৌসুমে নদীতে ভাঙ্গন হলে মহারাজপুর, ফতেপুর, পানসীপাড়া গ্রাম ভাঙ্গনের আশংকা রয়েছে।
স্থানীয একাধিক ব্যাক্তি জানায়, বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে রেজাউল চৌকিদারের নেতৃত্বে শ্যালো চালিত গাড়ী (কুত্তা গাড়ী) দিয়ে প্রতিদিন ভরাট উত্তোলন করছে, তার ক্ষমতার দাপটে অসহায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ওসি জানিয়েও বন্ধ হয় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুত্তা গাড়ীর ড্রাইভার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানায়, তারা নিয়মিত থানায় টাকা দেয়। থানায় টাকা না দিলে তখন পুলিশ আসে। চৌকিদার রেজাউল বলে আমি হুকুমের গোলাম, যা বলবে তাই করি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যা মিজানুর রহমান মিন্টু বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার একার পক্ষে কি ভরাট কাটা সম্ভব ? উপর মহলকে ও প্রশাসনকে মেনেজ করেই ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সেলিম রেজা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি এসব কোন অবৈধ কাজ করিনা জন্যে এখনও লালপুরের পরিবেশ ভালো রাখতে পেরেছি । মিন্টু চেয়ারম্যান নিজে বাঁচার জন্য অন্যের উপর দোষ দিচ্ছেন। তবে মিন্টু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ভরাট কেটে থাকলে সেটা অবশ্যই অবৈধ । আমরা অবগত হয়েছি , তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম রিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.