লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আরাফাত ময়দান

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ ৯ জিলহজ শনিবার পবিত্র হজ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১৮ লাখ হাজি  ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে আরাফাত ময়দান।
শনিবার ফজরের নামাজ আদায় শেষে মিনা থেকে হাজিরা সমবেত হন আরাফাতের ময়দানে। এখানে তারা সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
এই আরাফাতের ময়দান চৌদ্দ শ’ বছর আগে দাঁড়িয়ে মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে খুতবা দিয়েছিলেন আল্লাহর প্রিয় হাবিব, নবী ও রসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.)। বিদায় হজের খুতবায় নবীজি ঘোষণা করেছিলেন, আজ থেকে ইসলামকে পরিপূর্ণ ধর্ম ঘোষণা করা হয়েছে।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরাফাতে অবস্থানই হলো হজ। (মুসনাদে আহমদ: ৪/৩৩৫)।
আরাফাতে অবস্থানকারীরা ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন হাজীরা। শুক্রবার ৮ জিলহজ মিনায় অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। সমবেত হাজিরা এখানে হজের খুতবা শুনবেন। আরবি ভাষায় দেওয়া তাঁর এ ভাষণ বাংলাসহ বিশ্বের ২০টি ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করে শোনানোর ব্যবস্থা করেছে সৌদি হজ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। আজ মসজিদে নামিরায় নামাজও পড়াবেন তিনি। তাঁর ইমামতিতে হাজিরা একসঙ্গে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন।
সন্ধ্যার পর মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করবেন হাজিরা। মুজদালিফায় পৌঁছে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন হাজিরা। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন।
১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। এরপর বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে স্বাভাবিক পোশাকে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাঈ শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান এবং প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
সবশেষে কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।  হজ সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে সময় লাগে পাঁচদিন।
বাংলাদেশ থেকে এবার পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ৮৫ হাজার ১২৯ জন। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের ১৩ জন মারা গেছেন মক্কায়, আর চারজন মদিনায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.