লাইলাতুল কদরে আল-আকসায় ইবাদত ও সংঘর্ষ

(লাইলাতুল কদরে আল-আকসায় ইবাদত ও সংঘর্ষ–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অধিকৃত পশ্চিমতীরে শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ চেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে শবে কদরের রাতেও চড়াও হয়েছে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর বলছে, রোববার লাইলাতুল কদরে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের কাছে কয়েক হাজার মুসল্লি যখন নামাজ আদায় করেন, তখন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরাইলি পুলিশ।
এ সময় ফিলিস্তিনি তরুণরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে পাথর ছুড়তে থাকে। আর ইসরাইলি দাঙ্গা পুলিশ ঘোড়ায় চড়ে শব্দ বোমা ছুঁড়তে থাকে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দিতে তারা জলকামানও ব্যবহার করে।প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায়, সংঘর্ষে শিশুসহ ৮০ জন আহত হয়েছে।
প্রাচীন নগরী দামাস্কাস গেটের কাছে ২৭ বছর বয়সী মাহমুদ আল-মারবুয়া বলেন, দেখুন তারা কীভাবে আমাদের গুলি করে, আমরা কীভাবে বাঁচব? তারা চায় না আমরা প্রার্থনা করি। প্রতিদিনই সংঘাত হবে, প্রতিদিনই সংঘর্ষ বাঁধবে। প্রত্যেকটা দিনই এখানে সমস্যা থাকবেই।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, সেনাদের উদ্দেশ্যে তারা জ্বলন্ত টায়ার ছুড়ে মারছে, বাজি ফোটাচ্ছে। গাজা থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি রকেট খোলা জায়গায় পড়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।
হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক এক টুইটে বলেন, আমরা আল-আকসার জনগণকে সম্মান জানাই, যারা ইহুদিরাষ্ট্র পন্থীদের ঔদ্ধত্যের বিরোধিতা করেছেন। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনসাধারণকে তাদের ভাইদের সর্বাত্মক সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানান, উত্তেজনা দমন করতে দুই পক্ষের সঙ্গে মধ্যস্থতা করছে মিসর। শনিবারের সংঘাতের বিষয়টি শুক্রবারের চেয়ে কম আলোচিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবারের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০৫ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৮ জন ইসরাইলি কর্মকর্তা আহত হন। আন্তর্জাতিকভাবে এই ঘটনার নিন্দা করে শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে।
আল-আকসার প্রাচীন দেয়ালের উত্তরে এক কিলোমিটারের কম দূরত্বে বাগানশোভিত গ্রাম আল-জাররাহ। মহল্লাটিতে ১৯৫৬ সালে ২৮টি ফিলিস্তিনি পরিবার বসতি স্থাপন করে।
১৯৪৮ সালের যুদ্ধে বিভিন্ন আরব শহর থেকে ইহুদিবাদী মিলিশিয়াদের হাতে ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা এখানে আশ্রয় নেন।
বর্তমানে গ্রামটিতে ৩৮টি পরিবার বসবাস করছে। তাদের মধ্যে চারটি পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.