লজ্জা থাকলে পদ্মা সেতুতে উঠার আগে বিএনপি নেতারা ক্ষমা চাইতেন : তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে চরম অপপ্রচারকারী বিএনপি নেতাদের লজ্জা থাকলে তারা সেতুতে উঠার আগে প্রধানমন্ত্রী ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতেন।
মিসরে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান শেষে আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর)  সকালে দেশে ফিরেই দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। 
এ সময় সাংবাদিকরা ‘বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের সমাবেশে যাওয়া-আসা করেছেন’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী  লীগ সরকার সবার জন্যই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের আসলে লজ্জা নেই। লজ্জা যদি থাকতো তাদের বলা উচিত ছিল- পদ্মা সেতুতে উঠার আগে আমরা যে এ নিয়ে অপপ্রচার করেছি সেজন্য জাতির কাছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
পদ্মা সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের তুলনামূলক খরচের হিসাবটা মন্ত্রী নিজে পার্লামেন্টে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, খরচের তুলনামূলক হিসাবটা ধরা হয় স্বর্ণের মূল্য দিয়ে। কারণ টাকার মূল্যমান বা ডলারের মূল্যমান স্ট্যাটিক নয়, কিন্তু স্বর্ণের মূল্যমান স্ট্যাটিক। সেই হিসাবে হার্ডিঞ্জ  ব্রিজের তুলনায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ হয়েছে পদ্মা সেতুতে।
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত বিএনপি তো আজকে প্রায় ১৪ বছর ধরেই বলে আসছে সরকারের পতন ঘটাবে এবং পতন না ঘটিয়ে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। অথচ প্রত্যেক সমাবেশের শেষে তারা ঘরেই ফিরে যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা গুণ হচ্ছে- কেউ যদি খোঁচা দেয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তখন ঐক্যবদ্ধ হয়, উজ্জীবিত হয়। সেটিরই বহি:প্রকাশ আপনারা দেখেছেন যে যুবলীগের সম্মেলনে লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ হয়েছে। তাদের মতো এত হাঁকডাক দেয়নি। আর এটি আওয়ামী লীগের নয়, যুবলীগের সমাবেশ, তাতেই লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ ঘটেছে।
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উন্নত দেশগুলো বলেছে গত বছর তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার আন্তর্জাতিক তহবিলে ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এর মধ্যে একটা বিরাট শুভংকরের ফাঁকি আছে। কারণ বিশ্ব জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে প্যারিস চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা আছে যে ‘ইন এডিশন টু প্রেজেন্ট ওডিএ (ওভারসিজ ডিভালপমেন্ট এসিস্ট্যান্স)’। অর্থাৎ বর্তমানে উন্নত বিশ্ব যে ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট এসিস্ট্যান্স দেয়, সেই অর্থ এই তহবিলে যুক্ত বলে গণ্য হবে না।
জলবায়ু তহবিলে এর অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে কিন্তু তারা বর্তমান ওডিএ’র অর্থায়নকেও যুক্ত করে গত বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলে একটি হিসাব দাঁড় করিয়েছে। এর সঙ্গে আমরা একমত নই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.