লকডাউনের সকালে ঢাকায় ফিরে বিপাকে

ঢাকা প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আবার শুরু হয়েছে লকডাউনের বিধিনিষেধ; ঈদের ছুটি শেষে দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা থেকে আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোরে ঢাকায় পৌঁছাতে পারলেও যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের।
টার্মিনাল নেমে যানবাহন না পেয়ে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউবা রিকশা বা ভ্যানে চেপে রওনা হয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ভাগ্যবান যারা রিকশা বা ভ্যানে উঠতে পেরেছেন, তাদের দিতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
লকডাউনের প্রথম দিন সকালে রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। কিন্তু পুরান ঢাকার সদরঘাটের সড়কে দেখা যায় রাতের লঞ্চে ঢাকায় আসা মানুষের মিছিল।
রফিক উদ্দিন নামে একজন পরিবার নিয়ে পায়ে হেঁটেই যাচ্ছিলেন রামপুরার দিকে। জানালেন, বরিশাল থেকে এসে ভোরে সদরঘাটে নামার পর অনেক অপেক্ষা করেও কোনো যানবাহন পাননি।
কী যে বিপদে পড়েছি ভাই, ঠেলাগাড়িও হাজার টাকা ভাড়া চায় রামপুরা যেতে। উপায়ান্ত না দেখে হাঁটা ধরেছি। দুই বার দুই জায়গায় একটু বিশ্রাম নিয়েছি। মালাসামানা মাথায় নিয়ে এভাবে আসতে আসতে হাঁপিয়ে গেছি।
পটুয়াখালী থেকে আসা ফরিদা আখতার ছোট দুই বাচ্চা নিয়ে কোনোমতে একটি রিকশা ভ্যানে উঠতে পেরেছেন। তিনি যাচ্ছেন মালিবাগের চৌধুরীপাড়ায়।
বিরক্তির সঙ্গে তিনি বলেন, “এমন হইলে কালকে লঞ্চ ছাড়ল কেন? আমরা কীভাবে যাব? জায়গায় জায়গায় পুলিশ আটকাইতেছে। কোনো কিছু শুনতে চায় না তারা।”
লকডাউনের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সকাল থেকে বসেছে চেকপোস্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করতেও দেখা গেছে অনেককে। একটু পর পর টহল দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বাহিনীর গাড়ি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী কিছু বাহন ছাড়া চলছে শুধু রিকশা আর ভ্যান। তবে রিকশার সংখ্যাও অন্য দিনের তুলনায় কম।
নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক মো.মনিরুল হক ডাবলু বিটিসি নিউজকে বলেন, “আমরা পুরো এলাকা সিলগালা করে দিয়েছি। সকালে ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন এমন দুই একজনকে মানবিক দিক বিবেচনায় রিকশায় চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই এলাকায় কোনো রিকশাও চলতে দেওয়া হবে না।”
ঈদের পর বিধি-নিষেধ আরোপ পিছিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন থাকলেও বৃহস্পতিবার তা নাকচ করে দিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, সরকার এবার ‘কঠোরতম অবস্থানে’ থাকবে।
ঈদ শেষে যারা ঢাকায় ফিরবেন, তাদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, “যারা গেছে তারা থেকে আসুক ৫ অগাস্ট পর্যন্ত, কারণ সবকিছুই তো বন্ধ।”
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.