র‍্যাব-১৩ রংপুর এর প্রেস ব্রিফিং : ইউএনও’র ওপর হামলা চুরির উদ্দেশ্যে 

রংপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেষের ওপর হামলা হয়েছে চুরির উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব।
আজ শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টায় র‍্যাব-১৩ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস।
তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়। এই মামলার সত্র ধরে  ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাব। পরে আসাদুলকে আজ শুক্রবার ভোরের হাকিমপুরের কালীগঞ্জের বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে রংমিস্ত্রী নবীরুল ও সান্টুকে গ্রেফতার করা হয়।
র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বিটিসি নিউজকে জানান, স্বীকারোক্তিতে তারা চুরির উদ্দেশ্য ওয়াহিদা খানমের বাসায় যায় বলে জানিয়েছে। নবীরুল ওয়াহিদা খানমের মাথায় আঘাত করে বলে জানিয়েছে। 
ঘটনার মোটিভ ও অন্যান্য বিষয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র‍্যাব জানায়, আপাতত আসাদুলের বক্তব্যটুকুই আমাদের কাছে । আরও তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত কেবলই শুরু। আস্তে আস্তে জানা যাবে। তিনি এর বাইরেও ঘটনার মোটিভ সম্পর্কে কিছুই জানান নি। তিনি জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এরমধ্যে জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আসাদুল, নবিরুল ও সান্টুকে আটক দেখিয়ে আইনশৃঙখলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়াও অপর দুইজনের নাম বলেন নি। আসাদুল অটোরিকশার চেইন মাস্টার বলেও জানিয়েছে র‍্যাব।
তবে নবিরুল ও সান্টুকে সাংবাদিকদেও সামনে আনা হলেও আসাদুলকে আনা হয়নি।
ছেড়ে দেয়া জাহাঙ্গীর ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক এবং অপর আটককৃত মাসুদ সিংড়া  ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও পলাশ বাড়িরর নাইট গার্ড। এছাড়াও র‍্যাবের হেফাজতে থাকা আসাদুল উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। যুবলীগ থেকে তাদের বহিস্কার করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.