রৌমারীর রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: বন্যা ও অতিবৃষ্টির ফলে রৌমারী থানা মোড় হতে খনজনমারা, বাইটকামারী হয়ে দাঁতভাঙ্গা শালু মোড় পযর্স্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক দুই স্থানে ভেঙ্গে যাওয়াসহ খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।

দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভাঙ্গাচুরা সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়ায় বন্দবেড়, চরশৌলমারী ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের যানবাহন ও জনসাধারণের যোগাযোগে চরম দূর্ভোগে।

যানবাহন চলাচল না করায় পায়ে হেটে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিনই ৩টি ইউনিয়নের মানুষ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা ও সহযোগীতার জন্য হাট-বাজারের কাজে আসতে হয় উপজেলা সদরে।

গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সড়কটির বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে, খনজনমারা স্লুইচগেট, মুখতলা নামক স্থানসহ প্রায় ১৩ থেকে ১৪ টি জায়গায় বন্যা পনির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে।

অটোবাইক চালক বাদশা, হাবিবুর, লালচান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, রাস্তাটি জাগায় জাগায় ভেঙ্গে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে গাড়ি চালান যায়না চাকা ফ্রি ঘোড়ে, রাস্তাটি মেরামত না করলে আমরা এই রাস্তা আর গাড়ি চালাতে পারবোনা টাপুরচর হয়ে ৫কিলোমিটার ঘুড়ে রৌমারী যাইতে হবে। মাঝে মাঝে গাড়ি ওল্টাইয়া রাস্তার নিচে চলে যায়। অনেক আতঙ্ক নিয়ে গাড়ি চালাইতে হয়।

স্থানীয় সিএসডিকে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবু হানিফ মাস্টার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বন্দবেড় ইউনিয়নের খনজনমার স্লুইচগেট থেকে বাইটকামারী, পূর্ব পাখীউড়া হয়ে দাঁতভাঙ্গা পযর্ন্ত প্রায় ১৪কি.মি. পাকা রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ২০১৯ সালের বন্যায় ১৩ জাগায় ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলা অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বন্যায় সড়কটি ভেঙ্গে চুড়ে চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পাকা রাস্তাটি সংস্কার ও মেরামত কারার জন্য টেন্ডার হয়েছে, আশা করি খুব তারাতাড়ি কাজ শুরু হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.