রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে, আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে (রোহিঙ্গা) চীন বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রতিবেশী হিসেবে চীন এ সমস্যা সমাধানে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার (০৭ জানুয়রি) পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন বলেন, এটি একটি জটিল সমস্যা, যা ৬ বছর বছর ধরে ঝুলে আছে। এর সঙ্গে অনেক পক্ষ জড়িত। চীন এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করছে। তবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করেছে জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা পূরণে পাশে থাকবে চীন। বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় চীনের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী মাসে বিজনেস সামিট আয়োজন করার কথাও জানান রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও চীন সম্ভাব্য সবকিছু করবে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত দেশের মধ্যে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলাপ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে কাজ করবেন বলে জানান। ইয়াও ওয়েন বলেন, এ বছর চীনের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প শেষ হতে যাচ্ছে। সামনে আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প আসছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনকে একটি ‘বিস্ময়কর’ ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। চলতি বছরকে একটি জটিল সময় উল্লেখ করে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানান। ইয়াও ওয়েন বলেন, সোনার বাংলা বির্নিমাণে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা করা হবে। এটা প্রযুক্তি খাত হতে পারে। তাছাড়া খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি খাতে আরও বিনিয়োগ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতেও চীন বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত। চীন আরও অর্থনৈতিক জোন স্থাপনে নজর দিতে পারে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালুর বিষয়ে আলাপ চলছে বলে জানান। এ বিষয়ে চীন প্রস্তুত জানিয়ে এ বছরই ঘোষণা আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নতুন এ চীনা রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। চীনের কাছ থেকে প্রযুক্তিখাতসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষণীয় আছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.