রোববার রাত থেকেই শেষ হচ্ছে কেসিসি নির্বাচনী প্রচারনা

 

খুলনা ব্যুরো : রোববার রাত ১২টার পর থেকে কেসিসি নির্বাচনের প্রচারনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রার্থীদের হাতে যেন মোটেই সময় নেই। কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে প্রার্থী, দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের। এদিকে, ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও ইতোমধ্যে খুলনায় পৌঁছেছে।

নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এসব মালামাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার মো: ইউনুচ আলী। ১৫ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে স্ব স্ব কেন্দ্রেই ভোট গননা শেষে শুধুমাত্র ফলাফল সীট এনে বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বসে ঘোষণা দেয়া হবে।

একইসাথে প্রতিটি কেন্দ্রেই শুধুমাত্র ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা দিতে হবে প্রিজাইডিং অফিসারকে। একইসাথে কেন্দ্রগুলো থেকে ভোটবাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদিও পুলিশী প্রহরায় আনা হবে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। যেহেতু গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বন্ধ হয়ে গেছে সেহেতু খুলনার এ নির্বাচনের ওপরই নজর সবার। নির্বাচন কমিশনও এ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে নিয়েছে নানা প্রস্তুতি।

যদিও পুলিশী ভূমিকা নিয়ে ইতোমধ্যে কিছুটা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সব আশংকা দূর করে ১৫ মে জনগন নির্ভয়ে যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে এবং গোপন কক্ষে বসেই নিরাপদে ভোট দিতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই নগরীতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

যে লিফলেটে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বেশকিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ‘আপনার ভোট আপনি দিন, জেনে বুঝে যোগ্য প্রার্থীকে দিন’ এ শ্লোগান সম্বলিত ওই লিফলেটে রিটার্নিং অফিসার ভোটারদের উদ্দেশ্যে উল্লেখ করেন, ভোটাধিকার নির্বিঘ্ন করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। তাই ভোট কেন্দ্র এবং ভোটার ক্রমিক নম্বর সঠিকভাবে জেনে নিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটার মধ্যে সুবিধামত সময়ে ভোট দেয়া, সাংসারিক কাজ আগে সেরে নেয়া, মহিলা ভোটারদের স্বাচ্ছন্দে ভোট দেয়া, ভোটকে উৎসবে পরিণত করাসহ নানা আহবান রয়েছে ওই লিফলেটে। ভোটের দিন বা তার আগেও কোথাও কোন গোলযোগ বা বিশৃঙ্খলা দেখা গেলে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ আইন-শৃংখলা বাহিনী ও রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করার জন্যও আহবান জানানো হয়েছে।

রিটার্নিং অফিসার মো: ইউনুচ আলী জানান, ২৫ জন অফিসার, অর্ধ শতাধিক সহায়ক কর্মচারী, ২৯ জনের পর্যবেক্ষক টিম, চার হাজার ৯৭২ জন প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার ছাড়াও কেসিসি নির্বাচনের সাথে যুক্ত থাকছে আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর একটি বিশাল টিম। ১০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, ৪৭জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি এমনকি আনসার ও ভিডিপির টহল টিম এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ অন্তত: ছয় হাজারেরও বেশী আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে কেসিসি নির্বাচনের সাথে।

আগামীকাল রোববার রাত থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে। যাতে কেউ কোন প্রকার নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট না করতে পারে। নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পৌঁছে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটের আগের দিন অর্থাৎ ১৪ মে বিকেলেই ব্যালট বাক্সগুলো স্ব-স্ব কেন্দ্রে চলে যাবে। সেখানে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রিজাইডিং অফিসারগণ সব মালামাল বুঝে কেন্দ্র তাদের নিয়ন্ত্রণে নেবেন।

প্রতিটি কক্ষে একটি করে ব্যালট বাক্স যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে একটি করে অতিরিক্ত বাক্সও থাকবে। প্রয়োজনে সেটি পোলিং এজেন্টদের সামনে সীলগালা করে পরে ব্যবহার করা হবে। এবার ২৮৯টি কেন্দ্রে ১৫৬১টি স্থায়ী ও ৫৫টি অস্থায়ী কক্ষ থাকবে উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার বলেন, প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। কেসিসির এবারের মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দু’লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬জন এবং মহিলা ভোটার দু’লাখ ৪৪ হাজার ১০৭জন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.