রোনালদোর ইতিহাস গড়ার রাতে পর্তুগালের শুভসূচনা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচের শুরুতেই দলকে এগিয়ে নেওয়া দিয়োগো দালোত পরে হলেন আত্মঘাতী। তবে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বিশেষ অর্জনের রাতে হতাশ হতে হয়নি তাদের। ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে শুভসূচনা করল পর্তুগাল।
লিসবনে বৃহস্পতিবার রাতে ‘এ’ লিগের এক নম্বর গ্রুপের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে রবের্তো মার্তিনেসের দল। দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করে ক্যারিয়ারে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোনালদো।
গোলের লক্ষ্যে নেওয়া প্রথম শটেই এগিয়ে যেতে পারত পর্তুগাল। তবে, ষষ্ঠ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক দমিনিক লিয়াকোভিচ।
পরের মিনিটেই অবশ্য গোল পেয়ে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জের মুখে ফের্নান্দেসের থ্রু বল বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেন দালোত। এরপর ডিফেন্ডার বোর্না সোসাকে বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ না দিয়ে, জায়গা বানিয়ে কোনাকুনি শটে জালে বল পাঠান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুল-ব্যাক দালোত।
সমতায় ফিরতে চতুর্দশ মিনিটে দূর থেকে চেষ্টা করেন লুকা মদ্রিচ; কিন্তু তার জোরাল শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খানিক পর অন্যপাশে হতাশ হতে হয় রোনালদোকে; রাফায়েল লেয়াওয়ের কাটব্যাক পেয়ে পর্তুগাল অধিনায়কের নেওয়া শট দারুণ ক্ষীপ্রতায় পা দিয়ে ঠেকান লিয়াকোভিচ।
৩০তম মিনিটে প্রথমবার প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কঠিন পরীক্ষা নেয় ক্রোয়াটরা। আন্দ্রেই ক্রামারিচের বুলেট গতির শটটি অবশ্য দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন দিয়োগো কস্তা।
এর চার মিনিট পরই অনন্য কীর্তিটি গড়েন রোনালদো। দূর থেকে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান নুনো মেন্দেস, বলের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রেখে, প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন পর্তুগাল অধিনায়ক।
ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে ক্যারিয়ারে রোনালদোর গোল হলো ৯০০টি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের রেকর্ড গোলদাতার জাতীয় দলের হয়ে গোল হলো ১৩১।
বিরতির আগে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণ রুখতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল ঠেলে দেন দালোত।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ পান রোনালদো। তবে বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া তার জোরাল শট রক্ষণে প্রতিহত হয়।
নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে রোনালদোকে তুলে নেন কোচ, বদলি নামেন দিয়োগো জটা। বাকিটা সময় জাল অক্ষত রেখে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পোল্যান্ড। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.