বিটিসি জীবন যাপন ডেস্ক: হলুদ দুধের গুণগান লিখে শেষ করা যাবে না। তবে এবার থেকে বানানোর সময় মিশিয়ে নিন আরও ৩টি সিক্রেট মশলা। উপকার আরও বাড়বে।
(০১) আপনিও কি রোজ হলুদ দুধ খান? রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে নিয়মিত হলুদ চা, হলুদ দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই হলুদ দুধে বিশেষ কিছু জিনিস মেশালে উপকারিতা আরও হাজার গুণ বেড়ে যাবে। চলুন দেখে নেই কীভাবে বানাবেন এটি।
(০২) হলুদ দুধ বানাতে প্রথমে এক কাপ দুধ নিয়ে হালকা ফুটিয়ে নিন। তারপর তাতে মেশান থেঁতো করা কাঁচা হলুদ ১/২ চা চামচ। হলুদের গুঁড়োও মেশাতে পারেন। চিনির বদলে দিন গুড়। আর মশলা হিসেবে যোগ করুন এক চিমটে জাফরান, ড্রাই ফ্রুটস, দারচিনি গুঁড়ো এবং সামান্য আদা কুচি। এবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পান করুন এই দুধ।
(০৩) সারাদিন স্ট্রেসের কারণে আজকাল অনেকেরই ঘুম আসতে চায় না। তাঁরা বিশেষ করে বিছানায় যাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে হলুদ দুধ পান করুন। দেখবেন কেমন এক ঘুমে সকাল হচ্ছে।
(০৪) গাঁটে ব্যথা বা অন্য যে কোনও পেশির ব্যথা থাকলেও হলুদ দুধ ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। এই দুধ শরীরে প্রদাহের প্রবণতা কমায়। সঙ্গে এই দুধে মেশানো দারচিনি আর আদাও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। দুধ আর হলুদ একসঙ্গে হাড় শক্ত করে।
(০৫) যারা নিয়মিত অম্বলের সমস্যায় ভোগেন তাঁদেরও খুব উপকার করবে। গ্যাস, পেট ফাঁপা, ডায়েরিয়া বা পেটের অন্য যে কোনও সমস্যায় সমাধান করে হলুদ দুধ। তাই রাতে এটি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
(০৬) হলুদ দুধে যদি সামান্য জাফরান মেশানো যায় তবে তা ত্বকের বন্ধু হয়ে ওঠে। ত্বককে উজ্জ্বল করে, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে বয়সের ছাপ পড়া থেকেও আটকায়।
(০৭) যাদের একটুতেই ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁদের জন্য এই দুধ খুব উপকারি। হলুদে কারকিউমিন নামে একটি সক্রিয় উপাদান রয়েছে যা অ্যান্টি-অক্সিডান্টে ভরপুর। দুধও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই এই দুইয়ের মিল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়য়। #