রেলওয়ে সেতু বিভাগ: অযত্নে ৮০০ কোটি টাকার মেশিন ও মালামাল নষ্ট

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের একমাত্র রেলওয়ে সেতু কারখানায় জনবল সংকটে ৬ বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। খোলা আকাশের নিচে ইয়ার্ড জুড়ে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে লোহার মালামাল।
মাটিতে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় নষ্ট হয়ে গেছে ৮০০ কোটি টাকার মালামাল ও মেশিনপত্র। সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছে রেলওয়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্র।
সূত্রটি জানায়, ১৮৬৫ সালে ১৮ একর জমিতে রেলওয়ে সেতু কারখানাটি গড়ে তোলা হয়। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সব স্টেশনের প্লাটফর্ম সেডের মালামাল, রেললাইনের পয়েন্ট অ্যান্ড ক্রসিং, ব্রিজ গার্ডার, ট্রলি ও মোটর ট্রলি, পানির ট্যাংকি, ফুটওভার ব্রিজের মালামালসহ ২৫ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি এবং মেরামত হতো এ কারখানায়।
কারখানাটিতে রয়েছে মেশিন শপ, পয়েন্টস অ্যান্ড ক্রসিং শপ ও গার্ডার ইয়ার্ড শপ নামে ৩টি উপকারখানা।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার আমলে বাধ্যতামূলক গোল্ডেন হ্যান্ডশেক ও নিয়মিত অবসরের কারণে ১২৭ মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে মাত্র ৬ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন যাবেন অবসরে। বাকি ১ জন প্রেষণে পাকশিতে, ১ জন সহকারী সেতু প্রকৌশলী-তিনিও অফিসে নিয়মিত নন। ১ জন স্টোর কিপার ও ১ জন কর্মচারী ফাইলপত্র টানাটানি নিয়েই চলছে বিশাল এ কারখানার কাজ।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্লাটফর্ম সেড বা নকশা ঘরটি তালাবদ্ধ। ভেতরে আর্বজনার স্তূপ জমে আছে। পাশে মেশিন সেডটির চিত্র একই। ইয়ার্ডজুড়ে জঙ্গল ও বড় বড় আগাছা। খোলা আকাশের নিচে অযত্নে মাটিতে পড়ে রয়েছে অ্যাঙ্গেল রড, স্কয়ার রড, কভার প্লেট, মিটার ও ব্রডগেজ লাইনের সেতুর স্পেয়ার গার্ডার। অন্য পাশে তিস্তা ও পাকশি হার্ডিঞ্জ সেতুর পরিত্যক্ত লোহা-লক্কড়, রেললাইন, একটি বিকল স্টিম ক্রেনসহ বিভিন্ন ধরনের লোহার মালামাল মাটির সঙ্গে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটির নিচে চাপা পড়েছে ফ্রাঞ্চ প্লেট ও কভার প্লেট।
সহকারী সেতু প্রকৌশলী জুয়েল মিঞা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, জনবল ও কাঁচামালের সংকটে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। যেসব মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে তা মেরামত সম্ভব নয়। এসব কিনতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নীলফামারী প্রতিনিধি এম কে আনোয়ার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.