রুশ পাইপলাইনে রহস্যময় লিক, নাশকতার আশঙ্কা ইউরোপের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কবাল্টিক সাগরে রাশিয়ার দুটি গ্যাস পাইপলাইনে রহস্য লিকের পর তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপ। রহস্যময় লিকের ঘটনাটিকে সম্ভাব্য নাশকতা হিসেবে ধরে নিয়ে তদন্ত করছে তারা। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জ্বালানি সংকটের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে এই গ্যাস পাইপলাইন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ম্যাথিউজ মোরাওয়েইকি বলেছেন, নাশকতার কারণে এই লিক হয়েছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়া বলেছে নাশকতার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এই নাশকতার পেছনে কারা জড়িত তা প্রমাণিত হলে উদ্দেশ্য স্পষ্ট হবে।
সুইডেনের সমুদ্রসীমা কর্তৃপক্ষ নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইনে দুটি লিকের ঘটনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। এর আগের দিন নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনেও লিক শনাক্ত হয়। লিক শনাক্তের পর ডেনমার্ক সাগরে ছোট এলাকা ঘিরে নৌ ও বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সাম্প্রতিক জ্বালানি নিয়ে উত্তেজনার প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে এই দুটি গ্যাস পাইপলাইন। ইউক্রেনে আক্রমণের পর বেশ কয়েকবার রাশিয়া পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে। এর ফলে ইউরোপে জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং দেশগুলো বিকল্প জ্বালানির সন্ধান শুরু করে।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাথিউজ বলেন, আজ আমরা একটি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সম্মুখীন হয়েছি। কী ঘটেছে তা সম্পর্কে আমরা এখনও বিস্তারিত জানি না। কিন্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছি এটি একটি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। যা ইউক্রেনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আরও বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডেরিকসেন বলেছেন, নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমরা তিনটি লিকের কথা বলছি। যেগুলো একে অপর থেকে খুব বেশি দূরে না। এর ফলে এটিকে কাকতালীয় বলে মেনে নেওয়া যায় না।
রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই লিকগুলোর কারণে পুরো ইউরোপ মহাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলছে।
লিকগুলো শনাক্তের সময় কোনও পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছিল না। মূলত ইউক্রেন নিয়ে বিরোধের কারণে গ্যাস সরবরাহ করছে না রাশিয়া। কিন্তু এই ঘটনার পর আসন্ন শীতের আগে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপের গ্যাস পাওয়ার অবশিষ্ট আশাবাদও হারিয়ে গেলো।
ইউরোপের এক গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, এটি যে ইচ্ছাকৃত ঘটনা তার পক্ষে কিছু ইঙ্গিত রয়েছে। প্রশ্ন করতে হবে: এতে কারা লাভবান হবে?
দ্বিতীয় আরেকটি ইউরোপীয় সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত নাশকতার পক্ষে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। কেবল পাইপলাইন কেটে ফেললে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.