রিম নৌ ঘাঁটিতে চীনের উপস্থিতি, কম্বোডিয়াকে ‘চাপ’ যুক্তরাষ্ট্রের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের উপসাগরে একটি নৌ ঘাঁটিতে চীনের উপস্থিতি নিয়ে কম্বোডিয়াকে ক্রমাগত ‘চাপ দিয়ে চলেছে’ মার্কিন বাইডেন প্রশাসন। কম্বোডিয়ার ঘাঁটিতে চীন কী করছে সেই ব্যাপারটিই তারা পরিষ্কার করতে বলছে।
যদিও এর আগে ওই ঘাঁটিতে দুই দেশের সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। চীন ও কম্বোডিয়া যে গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে সেই বার্তা দিয়েছিলেন তারা।
ফরেন পলিসি লিখেছে, কয়েক মাস ধরে কম্বোডিয়ান কর্মকর্তারা তাদের মার্কিন অংশীদারদের কাছে জোর গলায় বলে আসছিলেন, রিম নৌ ঘাঁটি কেবল চীনের জন্য নয়, সেটি অনেক দেশকে সুযোগ দেবে। যদিও কম্বোডিয়ার নিষ্ক্রিয়তার কারণে চীনা সেনারা সেখানে অবস্থান ও ঘোরাফেরা করেছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ওয়াশিংটন ও নমপেনের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগে নতুন করে আশা জাগছে, কম্বোডিয়া হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সম্মান জানাতে পারে।
যদিও কম্বোডিয়ার ঘাঁটিতে চীনের নির্মাণকাজ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে। ফলে ওয়াশিংটনে বিতর্ক বেড়েছে ওই ঘাঁটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ঠিক কতোটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। মনে হচ্ছে চীন তার বড় জাহাজের প্রবেশ করানোর জন্য রিম নৌ ঘাঁটি এলাকাটি প্রস্তুত করছে এবং অন্যান্য দেশগুলোকে তার থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
পেন্টাগন তার পর্যবেক্ষণে বলছে, রিম নৌ ঘাঁটি হবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রথম বিদেশি ঘাঁটি। বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনীর একটি চীনের নৌবাহিনীকে সেখানে সুযোগ দিতে পারে। ফলে ভারত মহাসাগরের দিকে চীনের নাগাল আরও প্রসারিত হতে পারে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.