রাসিক নির্বাচনে, ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ৬

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ভোটের মাঠে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। রাসিক নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে ওয়ার্ডগুলোতেও। রাসিকের ত্রিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্যতম ১নং ওয়ার্ড। পরপর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মনসুর রহমান, এর পাশাপাশি আরও পাঁচজন সম্ভাব্য প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে।

এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক রজব আলী, ওয়ার্ড আ.লীগ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রানা খান, বাতেন বাবু, ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব শহীদ আলম ও ইলিয়াস আলী। জনসমর্থন নিয়ে বিজয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সকলেই।

পরপর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর মনসুর রহমান, এর জনপ্রিয়তার কথা বলার প্রয়োজন পড়েনা। ১নং ওয়ার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বর্তমান কাউন্সিলর মনসুর আলী, বলেন ১নং ওয়ার্ডে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। এলাকার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করেছি। তার মধ্যে পীরসাহেব পাড়ার ড্রেন, হড়গ্রাম ব্যাংক পাড়ার রাস্তা ও ড্রেন, সাইরগাছা বাইপাস থেকে রায়পাড়া পর্যন্ত ড্রেন ও রাস্তাসহ অন্যান্য অনেক কাজই বাস্তবায়ন করেছি।

১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে মনসুর রহমান, কতুটুকু সফল তা নিয়ে অধিকাংশের মতে তিনি সফল কাউন্সিলর হলেও অনেকেই অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুৎ ও মাদক সমস্যার সমাধান নিয়ে। ১নং ওয়ার্ড এর রায়পাড়া আমবাগান এলাকায় অনেক বাড়িতেই এখনো বিদ্যুতায়ন হয়নি। এছাড়াও এই এলাকাকে মাদকদের ব্যবসা ও সেবন আখড়া হিসেবেও উল্লেখ করেছেন এলাকাবাসী।

এ সম্পর্কে মনসুর বলেন, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি হয়নি। পিডিবির লোকদের নিয়ে অনেকবার এলাকাতে সার্ভে করা হয়েছে। কিন্তু এখুন পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকি আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, আপনি কোন দল করেন? বিএনপি মতাদর্শের কাউন্সিলর হওয়ার কারনেই হয়তো তারা কাজে অবহেলা করছে।

এলাকার মাদকব্যবসা ও সেবন নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির সময়ে আমি মাদকের ব্যবসা ও সেবন প্রায় একেবারে বন্ধ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্যরকম। এখন একজনকে বললে আরেকজনের রোষানলে পড়তে হয়। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এখন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ কমে এসেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আর একটু তৎপর হলেও তা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হবে বলে আমি মনে করি।

ওয়ার্ডবাসীর চাওয়া ও তা পূরনে কি প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি সবসময় সচেষ্ট ছিলাম এলাকাবাসীর চাওয়া পূরণ করতে। তারপরেও হয়তো নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে কিছু কাজ বাঁকি রয়েছে তা আমার এলাকাবাসীও জানেন।

আসন্ন নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডবাসী তাকে জয়ী করবেন বলে তিনি মনে করেন। চতুর্থবারের মত বিজয়ী হলে ওয়ার্ডবাসীর চাওয়া পূরণে একাগ্রচিত্তে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী ১নং ওয়ার্ড আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক রজব আলী এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। প্রার্থীতা চূড়ান্ত না পর্যন্ত নির্বাচন বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী ১নং ওয়ার্ড আ.লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রানা খান, জোর প্রচারনা চালাচ্ছেন। নিজের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, তরুণ ও প্রবীণদের নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা। বিজয়ী হলে নিজ ১নং ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত ও এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান তিনি।

এছাড়াও ১নং ওয়ার্ড এর অন্য আরো দুই প্রার্থী আলহাজ্ব শহীদ আলম, ও ইলিয়াস আলী, এরাও পিছিয়ে নেই এবারের ভোটযুদ্ধে। প্রত্যেক প্রার্থীরই রয়েছে জনসমর্থন। সকলেই বিজয়ের হাসি নিশ্চিত করতে চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচারণা।

বর্তমান ১নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলরের কর্মকান্ডে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে জনমনে। কেউ বলছেন তিনি মোটামুটি সফল আবার কেউ তাকে আংশিক সফল বলে মনে করছেন। তিনি সফল ১নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর হন বা না হোন এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না কেউ। সবাই বলছেন সকল পরিসংখ্যানের বাইরে গিয়ে ১নং ওয়ার্ড বাসীর যোগ্য ও জনবান্ধব প্রার্থীকেই এবারের ভোটে নির্বাচিত করবেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.