রাশিয়া-ইউক্রেন আগ্রাসনের পর প্রথম কোনো মার্কিন সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিল পুতিন

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজের সাবেক হোস্ট ও নামকরা সংবাদিক টাকার কার্লসনকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পুতিন এ সাক্ষাৎকার দেন। প্রায় দুই বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর কোনো আমেরিকান সাংবাদিকের কাছে এটিই পুতিনের দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকার।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “পুতিন কার্লসনের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়েছিলেন। কারণ, সাবেক এই ফক্স নিউজ হোস্টের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। তিনি ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে অন্য অনেক পশ্চিমা পত্রপত্রিকার মতো ‘একপেশে’ প্রতিবেদন করেন না।”
তিনি আরো বলেন, “পশ্চিমা (যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ) দেশগুলোর কথা বলতে গেলে, তাদের বৃহৎ গণমাধ্যম নেটওয়ার্ক, টিভি চ্যানেল এবং বড় বড় সংবাদপত্রগুলো খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে অন্তত নিরপেক্ষ থাকার গর্বটুকুও কোনোভাবেই করতে পারে না। এসব গণমাধ্যম, যারা খবর প্রকাশে অত্যন্ত একপেশে অবস্থান নেয়, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কোনো ইচ্ছা জাগে না। তাছাড়া, সেটা যে ফলপ্রসূ কিছু হবে তেমন সম্ভাবনাও নেই।”
তাহলে মার্কিন সাংবাদিক কার্লসন কেন পুতিনের সাক্ষাৎকার নিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেন, “আমেরিকার এই সাংবাদিকের দৃষ্টিভঙ্গি কোনোভাবেই রাশিয়াপন্থী না, ইউক্রেইনপন্থীও না, আবার যুক্তরাষ্ট্রপন্থীও না।”
সাক্ষাৎকারটি বৃহস্পতিবার সম্প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস। টাকার কার্লসন মঙ্গলবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, এই সাক্ষাৎকার থেকে আমেরিকানরা যুদ্ধের ব্যাপারে রাশিয়ার দৃষ্টিকোণ বুঝতে পারবে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার আগে তিনি সর্বশেষ মার্কিন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ২০২১ সালে। সে সময় তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন সিএনবিসি নিউজের সাংবাদিক হ্যাডলি গ্যাম্বেল।
ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ায় কঠোর গণমাধ্যম আইন চালু হলে অনেক পশ্চিমা গণমাধ্যমই মস্কো ছেড়ে যায়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মার্কিন সাংবাদিককে ২০২৩ সালের মার্চে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করে রাশিয়া।
সম্প্রতি টাকার কার্লসন রাশিয়া সফর করেন। সে খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন উঠেছিল যে, পুতিনের সাক্ষাৎকার নিতেই রাশিয়া গেছেন তিনি। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.